ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি এবং একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং জগতে টাকা ইনকামের কতগুলো যে মাধ্যম রয়েছে সেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। ঠিক সেরকমই একটি মাধ্যম হলো অ্যাকাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম। তবে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। তবে আপনার আগ্রহ অনুযায়ী যদি একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ ইনকাম করতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং সে অনুযায়ী কিভাবে টাকা ইনকাম করা যাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করব।
উক্ত বিষয়টি বাদে আরো যে সকল বিষয়ে জানতে পারবেন সেগুলো হল ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি, ফ্রিল্যান্সার হতে কি প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্টেন্ট এর কাজ কি এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সুতরাং একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সহ পাশাপাশি আরো যে সকল বিষয় রয়েছে সকল বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকুন।
পোস্ট সূচীপত্র
ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি
ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা কম বেশি সকলেই বুঝি। মূলত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি অনেকগুলো বিষয় নিয়ে গঠিত এবং স্বাধীনভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার তার সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা যার কোন নির্দিষ্ট ধরা বাধা নিয়ম কানুন বা সময় থাকে না। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসার পরিধি অনলাইন পর্যন্ত বিস্তার করে যাচ্ছেন। আর তাদের অনলাইনে ব্যবসার পরিধি বিস্তার করার জন্য একান্তভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে বিভিন্ন সেক্টরের ফ্রিল্যান্সাররা।
সেই সকল সেক্টরের মধ্যে আরও একটি সেক্টর হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং সেক্টর। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখনো ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি এ বিষয়টি নিয়ে অতটা চর্চা নেই। এ ধরনের ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকামের বিষয়টি খুব একটা প্রচলিত হয়নি। তবে অনেকে আছেন যারা মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাহিরে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো একটি অ্যামাউন্ট ক্রিয়েট করছেন। যেহেতু এ বিষয়টিতে এখনো সকলের আগ্রহ সেভাবে তৈরি হয়নি তাই কেউ যদি বেসিক বিষয়গুলো শিখে এ ধরনের ফ্রিল্যান্সিং করতে চায় তাহলে খুব সহজেই কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কেননা এখানে প্রতিযোগিতা অনেক অংশে কম। মূলত ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং সেক্টরে যারা কাজ করতে চান তাদের ক্ষেত্রে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্নতে রিয়েল ইস্টেট, কনস্ট্রাকশন, ল ফার্ম এ সকল নিশ নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন পড়বে।
ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টেন্ট এর কাজ কি
ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত একটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে সেই বিষয়ে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকে কাজের অর্ডার নিয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্টেন্ট যারা তারাও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে একই নিয়মে কাজের অর্ডার পায়। যেমন একজন ওয়েব ডেভলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে এমন ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস থেকে ওয়েবসাইট বিষয়ক কাজে অর্ডার পাবে। অপর পক্ষে একজন ডিজিটাল মার্কেটার মার্কেটপ্লেস থেকে সেই ধরনের কাজের অর্ডার পাবে।
যে সকল কাজ সার্ভিস এবং বিজ্ঞাপনের প্রচার প্রচারণা এবং বিক্রির জন্য তাকে হায়ার করা হচ্ছে।এ দুটি কাজের উদাহরণ আমরা দিলাম কিন্তু এগুলো বাদে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো অনেক কাজ রয়েছে এবং প্রত্যেকটি কাজ তাদের নিশ অনুযায়ী মার্কেটপ্লেস থেকে গ্রহণ করা হয়। একজন একাউন্টেন্ট ফ্রিল্যান্সার কোন ধরনের নিশ নিয়ে বা কোন ধরনের সেক্টরে কাজ করেন সেটি প্রথমে আমাদের জানতে হবে।
কেননা আপনি যদি একজন অ্যাকাউন্টিং ফ্রিল্যান্সার হতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটা টার্গেট সেট করতে হবে। যে টার্গেট অনুযায়ী আপনি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। নিচে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সকল নিস রয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হলো।
- Real Estate
- Construction
- Law Firms
- Non-Profit Org
- E-Commerce
- Health Care Services
- Restaurants
- Mid-Sized Business
উপরে বর্ণিত এ সকল সেক্টরে একজন অ্যাকাউন্টেন্ট ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন হিসাব-নিকাশের কাজ করে থাকেন। বিষয়টি সহজ করে বলতে গেলে যেমন ধরুন কোন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে কিন্তু সেই কোম্পানির হিসেব-নিকাশ করার জন্য একজন লোক প্রয়োজন। আর এজন্যই সে সকল কোম্পানি মার্কেটপ্লেস এবং আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে একজন ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করে যে কিনা একাউন্টিং সম্পর্কে সকল স্কিল রয়েছে।
আর এজন্য ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি এবং একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করে একজন বিগিনার একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সারকে এডভান্স লেভেলে পৌঁছাতে হলে কঠোর পরিশ্রম করা আবশ্যক।
একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং জগতসহ অন্যান্য যে কোন ধরনের প্লাটফর্মে স্কিল ব্যতীত কোন মূল্য নেই। ধরুন আপনি কোন একটি আইটি ফার্মে জব করছেন কিন্তু আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি এবং দক্ষতা না থাকে তাহলে আপনি সামনের দিকে কখনোই অগ্রসর হতে পারবেন না। ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে যদি একাউন্টিং বিষয় নিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে হিসাববিজ্ঞান সম্পর্কে আপনার এ টু জেড নলেজ থাকতে হবে। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার এবং একজন চাকরিজীবীর পার্থক্য যদি আপনি লক্ষ্য করেন তাহলে আপনি অবশ্যই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইবেন।
একজন ফ্রিল্যান্সারের লাইফস্টাইল ধরা বাধা নিয়মের মধ্যে থাকে না। পাশাপাশি সরকারি অথবা বেসরকারি চাকরিজীবী থেকে অনেকাংশে আয় ও বেশি হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি যতটা সহজ ঠিক ততটাই কঠিন। তাহলে কেউ যদি একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্ন করে তাহলে আমরা সর্বপ্রথম কিছু যোগ্যতা থাকার কথা বলব যেটার বিনিময়ে খুব সহজেই স্কীল গুলো আবজর্ভ করা যাবে। চলুন তাহলে এবার একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক।
- একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে সর্বপ্রথমে একাউন্টিং সফটওয়্যার গুলো খুব ভালোভাবে শিখতে হবে। আপনি সফটওয়্যার সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা নিতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন অথবা ৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম এবং ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম এই লেখাটিতে ক্লিক করুন।
- বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একাউন্টিং সম্পর্কিত যে সকল কাজের সার্কুলার রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে রিসার্চ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
- নিজেকে একজন একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে হলে নির্দিষ্ট একটি স্ক্রিল অর্থাৎ হিসাব-নিকাশ সম্পর্কে নিজেকে অ্যাডভান্স লেভেলের এক্সপার্ট করতে হবে।
- স্কিল গুলো অর্জন করার পরেও একজন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার যে পূর্বে অ্যাকাউন্টিং নিয়ে কাজ করেছে তার কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- কাজ শুরুর প্রথমেই ইনকাম করার প্রবণতা মাথা থেকে একদম ঝেড়ে ফেলতে হবে।
- ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে "A failure is the pillar of success" অর্থাৎ আপনি যদি এই সেক্টরে কাজ করার সময় কোনোভাবে ফেইল হন তাহলে পুনরায় শুরু করার মন-মানসিকতা রাখতে হবে।
- পরিশেষে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি এ বিষয়টি খুব ভালোভাবে জেনে বুঝে সে অনুযায়ী নিজের একটি পোর্টফলিও তৈরি করে নিতে হবে। যা পরবর্তীতে একজন বায়ারকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়।
একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং ইন বাংলাদেশ
আমরা আর্টিকেলের একদম শুরুর অংশে একটি কথা বলেছিলাম সেটি হল বাহিরের দেশের তুলনায় বর্তমানে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং ইন বাংলাদেশ বিষয়টি ততটাও জনপ্রিয় হয়নি। কিন্তু আপনি যদি এখন মনে করেন যে বাংলাদেশে যেহেতু অ্যাকাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং অতটাও পপুলার না তাহলে আমি এখানে কাজ করে কি করব। আসল টুইস্টটা এখানে লুকায়িত আছে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি ৫ বছর পূর্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মার্কেটপ্লেসগুলোর দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন সেই সময় উক্ত বিষয়টি জনপ্রিয় না থাকলেও যারা সেই সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করেছিল ৫ বছর পরে এসে তাদের পজিশন কত উচ্চ লেভেলে পৌঁছে গেছে।
ঠিক তেমনি এখনকার প্রেক্ষাপটে অ্যাকাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং যদিও খুব একটা পপুলার নয় কিন্তু আমাদের মতে আপনি যদি এই আন পপুলার বিষয়টি নিয়ে এখন শুরু করেন তাহলে পাঁচ বছর পর ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত হয়তোবা একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং ও উচ্চ লেভেলে পৌঁছে যাবে। সুতরাং যদি এই বিষয়ে আপনার কোন রকম আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করে একটি কোর্স নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর প্রত্যেকটি বিষয়ের গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ রয়েছে। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে বর্তমান সময়টিকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্কিল সঠিক পথে ব্যয় করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি ভালো
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করব। কিন্তু সেটা কি আমার জন্য ভালো হবে কিনা। আমরা একটু আগেই উপরের অংশে যে কথা বলেছিলাম সেটি আবার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করছি। যেহেতু বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিয়েল স্টেট থেকে শুরু করে সকল ধরনের কার্যক্রম করার জন্য অবশ্যই একজন হিসাব রক্ষকের প্রয়োজন। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রত্যেকটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই একজন অথবা দুইজন হিসাব রক্ষক মজুদ থাকে। তাহলে যারা বর্তমান সময়ে নিজেদের কোম্পানি গোছানোই ব্যস্ত তারা কখনোই নিজেদের হিসাব নিকাশ করার সময় পাবে না।
তাহলে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অ্যাকাউন্টিং বিষয়টি নিয়ে কাজ করেন তাহলে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাহিরে থেকে অবশ্যই কাজের সুযোগ রয়েছে। আমরা উপরের অংশে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং এর আওতায় যে ধরনের কাজের প্রেক্ষাপট রয়েছে সেগুলো উল্লেখ করেছি। আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট নিশ পছন্দ করতে হবে যেটাতে আপনার আগ্রহ রয়েছে। বন্ধুগণ আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এখানে একটি ডায়াগ্রামের মাধ্যমে চারটি প্রফিটেবল অ্যাকাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং এর নিশের কথা উল্লেখ করলাম।
আপনি যদি উপরের বিষয়গুলো ভালো করে লক্ষ্য করেন। তাহলে বর্ণিত নিশ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বিষয়ে যদি আপনি পারদর্শী হতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পেছনে তাকাতে হবে না। তাহলে একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া গেল যদি কেউ ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি এবং একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত হতে পারে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং অবশ্যই ভালো একটি সেক্টর হিসেবে গণ্য হবে।
ফ্রিল্যান্সার হতে কি প্রয়োজন
ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সার হতে কি প্রয়োজন সেই বিষয়ে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে প্রত্যেকটি আর্টিকেল অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার হতে কোন কোন বিষয়ের প্রয়োজন। খুব সহজেই সেগুলো সম্পর্কে উপলব্ধি প্রাপ্ত হতে পারবেন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলের এই অংশেও ফ্রিল্যান্সার হতে কি প্রয়োজন সে বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা এবং ডেডিকেশন এর উপরে।
আপনি যদি নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারেন। তাহলে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকে খুব সহজেই বায়ার হানটিং করতে পারবেন। তবে মনে রাখা ভালো একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অর্থ, ধৈর্য এবং পরিশ্রমের সাথে সময় ও ব্যয় করতে হবে। বিষয়টা এমন নয় যে আপনি আজকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেন এমন ধরুন আপনি একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়টি খুব ভালোভাবে জেনে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেন। কিন্তু আপনাকে সফল হতে হলে অবশ্যই কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ১ বছর হাতে সময় নিয়ে আসতে হবে।
এই সময়ের মধ্যে আপনি আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার পাশাপাশি আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট রিচ করার চেষ্টা করবেন। এখানে বলে রাখা ভালো আপনি ৫ বার চেষ্টা করলে ৪ বার ফেল হওয়ার এবং ১ বার মাত্র সফল হওয়ার চান্স থাকে তবে সেটাও সিওর নয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে কতটা ডেডিকেশনের প্রয়োজন রয়েছে। চলুন তাহলে এবার একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে কি প্রয়োজন সেই বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে জেনে নেওয়া যাক।
- ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। উদাহরণস্বরূপ যদি একাউন্টিং বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সে ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি এ বিষয়টি খুব ভালোভাবে জানা উচিত।
- যেহেতু বাহিরের দেশের ক্লাইন্টের সাথে বেশিরভাগ সময়ে কাজ করা পড়বে সেক্ষেত্রে ইংলিশে দক্ষতা অর্জন করা খুবই জরুরী। যদি ইংলিশে কমিউনিকেশন স্কিল দুর্বল হয় তাহলে ইংলিশে নিজেকে পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
- অবশ্যই কম্পিউটার চালনা করা সহ কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কম্পিউটারের যে সকল প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার রয়েছে সে সম্বন্ধে সকল ধরনের জ্ঞান থাকতে হবে।
- ফ্রিল্যান্সিংয়ের সকল সেক্টরেই আপনাকে আর্টিকেল লেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় টাইপিং করে কাজ জমা দিতে হবে। সুতরাং টাইপিং দক্ষতা অর্জন করা আরো একটি জরুরী বিষয়।
- অর্থ বিনিয়োগের পাশাপাশি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে ধৈর্য, পরিশ্রম এবং সময় ব্যয় করতে হবে। একবার ব্যর্থ হলে পুনরায় চেষ্টা করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে।
- পরিশেষে অবশ্যই একটি ভালো মানের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকতে হবে। প্রসেসর কমপক্ষে core i3 এবং Ram দুই স্লটে ৮ জিবি করে থাকতে হবে।
শেষের কথা
বন্ধুগণ আমরা আজকে আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমরা আশাবাদ করছি আপনারা ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি এবং একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়টি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত হতে পেরেছেন। যদিও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং অতটাও পপুলার হয়নি। তবে এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি অবশ্যই একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। যদি এই বিষয়ে আপনি কোন অংশে বুঝতে না পারেন তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতিসত্বর সেই বিষয়টির সলুশন দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমরা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সকল ধরনের আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে রেখেছি। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে সকল তথ্য আহরণ করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন যেন তারা ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টিং কি এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পারে এবং তারাও যেন এ ধরনের আলাদা কিছু করার মন মানসিকতা পায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url