বাংলা আর্টিকেল সাইট এবং বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জানুন
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ফলো করে যদি আপনি ব্লগ ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি একদিন গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই বাংলা আর্টিকেল লিখে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে থাকে। তবে আপনার যদি লেখালেখির অভ্যাস এবং লেখার ধৈর্য থাকে তাহলে কেবলমাত্র এই সেক্টরে আসা উচিত। কেননা প্রতিনিয়ত আপনাকে বাংলা আর্টিকেল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এ টু জেড জানতে হবে।
আজকে এই আর্টিকেলে আমরা উক্ত বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। এই পোস্টে আলোচ্য বিষয়টি ব্যতীত আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চলেছেন সেগুলো হল বাংলা আর্টিকেল সাইট এবং ব্লগ লেখার নিয়ম সম্পর্কে। বন্ধুগণ আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আপনি যদি শৈল্পিকতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তাহলেই পাঠকগণ যেমন আপনার বিষয়টি পড়ে উপভোগ করবে ঠিক তেমনি উপকৃত হবে। সুতরাং বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জানার জন্য অবশ্যই অনুরোধ থাকবে আমাদের আজকের এই পোষ্টের প্রত্যেকটি বিষয় মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
পোস্ট সূচীপত্র
আর্টিকেল রাইটিং কি
আর্টিকেল রাইটিং সাধারণত কোন ব্যক্তি, বিষয় বা বস্তু সম্পর্কে সাজিয়ে গুছিয়ে কোন কনটেন্ট আকারে প্রকাশ করার বিষয়টিকে বোঝায়। একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা বস্তুর বিভিন্ন বিষয়ের প্রকাশ ঘটানো হয়। একজন আর্টিকেল লেখক উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে থাকে। পরবর্তীতে লেখা শেষ হয়ে গেলে সেই ইনফরমেশনটা অন্য ব্যক্তির সাথে শেয়ার করার সুযোগ থাকে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার মাধ্যমে। বর্তমানে যে সকল ওয়েবসাইট আমাদের নজরে পড়ে।
তাদের মধ্যে বেশিরভাগ সাইট আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। আর এ ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করে অন্য ব্যক্তিদের যেমন উপকার করা হচ্ছে ঠিক তেমনি আর্টিকেল লিখে কিছু টাকা ইনকাম করাও সম্ভব হচ্ছে যা সম্পূর্ণভাবে হালাল। আর্টিকেল এর সরাসরি সংজ্ঞা হল অনেকগুলো বাক্যের সমষ্টিগত রূপ। পাশাপাশি যখন যে বাক্য গুলির সাহায্যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্বন্ধে সম্পূর্ণভাবে তথ্য দেওয়া হয়ে থাকে সেটি মূলত আর্টিকেল এর সার্থকতা। এভাবে তথ্য সংবলিত বিষয়টিকে একত্রে আর্টিকেল এর রূপ প্রদান করা হয়।
একটি আর্টিকেলে শুধুমাত্র ব্যক্তি অথবা বস্তু নয়, রাজনৈতিক বিষয় থেকে শুরু করে একটি দেশের সকল ধরনের তথ্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। বলতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং একটি শৈল্পিকতা এবং ক্রিয়েটিভিটির সম্পূরক হিসেবে বিবেচিত। তবে আর্টিকেল রাইটিং অর্থাৎ আপনি যে ভাষায় আর্টিকেল লিখবেন না কেন, উদাহরণস্বরূপ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি প্রত্যেকটি ভাষার তাদের কালচার অনুযায়ী আর্টিকেল লেখার নিয়মে ভিন্নতা থাকতে পারে।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথমে কোন বিষয় সম্বন্ধে লিখতে চাচ্ছেন সেটি নির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়ে সাহায্য নিতে আপনি google এ সার্চ করতে পারেন। গুগলে সার্চ করলে আপনার সামনে অনেক বাংলা আর্টিকেল সাইট চলে আসবে। সুতরা আপনার নির্বাচিত নির্দিষ্ট বিষয়টি লিখে গুগল সার্চ বারে সার্চ করলে সেই বিষয়ে অনেক ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন। তবে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে অবশ্যই আপনি ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।
আপনি যদি পাঠকের সাথে একটি অদৃশ্য যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন তবেই কেবলমাত্র পাঠক আর্টিকেলগুলো পড়ে মজা পাবে। আর এটিই মূলত ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং। আমরা বেশিরভাগ সময়ে অগোছালোভাবে আর্টিকেল রাইটিং করি এবং সেটি ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি। পরবর্তীতে যখন পাঠক আর্টিকেলগুলো সময় নিয়ে পড়ে না তখন গুগল বুঝতে পারে যে এই আর্টিকেলটি অতটা প্রয়োজনীয় নয়। তখন সেই পোষ্টের রিচ এবং ইম্প্রেশন কমিয়ে দেওয়া হয়।
পার্বতীতে সেখান থেকে ট্রাফিক জেনারেট করা আর সম্ভব হয় না। এজন্য ভালো আর্টিকেল লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জানানোর জন্য আপনাদের পাশে আছে ডিজিটাল অনলাইন আইটি। শুধুমাত্র নিচের প্রত্যেকটি বিষয় মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন তাহলে বাংলা আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।
প্রথম ধাপ (টাইটেল এবং শিরোনাম)
একটি আর্টিকেলের প্রাণ হল টাইটেল এবং শিরোনাম। পাঠক শুধুমাত্র টাইটেল এর উপর নির্ভর করে কিন্তু আপনার আর্টিকেলে প্রবেশ করবে। যদি টাইটেল মানসম্মত বা প্রয়োজনীয় না হয় সে ক্ষেত্রে সেখানে ভিজিটর আসার সম্ভাবনা অনেক কম। এজন্য আর্টিকেল লেখার পূর্বে আপনাকে টাইটেল ট্যাগ সম্বন্ধে রিসার্চ করা প্রয়োজন। তবে মনে রাখতে হবে কখনো অন্যের টাইটেল কপি করা যাবে না। টাইটেল বা শিরোনাম সর্বোচ্চ ১০ শব্দের মধ্যে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
এই দশ শব্দের মধ্যে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড যুক্ত থাকতে হবে যাতে পাঠক বুঝতে পারে এখানে তার কাঙ্খিত তথ্যগুলো রয়েছে। সেই অনুযায়ী তখন সেই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলে পাঠক প্রবেশ করবে। নিচে বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
- আর্টিকেল বা পোস্টের টাইটেল ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
- টাইটেলের অভ্যন্তরে অবশ্যই ১ টি বা ২ টি মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড যুক্ত থাকা জরুরী।
- টাইটেলে স্পেশাল ক্যারেক্টার যেমন (?,!,|) এগুলো ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করা যাবে না।
- টাইটেল বা শিরোনামের ফোকাস কিওয়ার্ড এর মাঝখানে (-) হাইপেন ব্যবহার করা যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ (ভূমিকা লেখার নিয়ম)
আর্টিকেল লেখার শুরুতেই ৫ থেকে ৬ লাইনের মধ্যে ভূমিকা লেখার চেষ্টা করতে হবে। যেন শুরুতেই একজন পাঠক বুঝতে পারে এই আর্টিকেলটি কোন বিষয়ের উপর লেখা হয়েছে। আপনি আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তুগুলো ভূমিকার এই পাঁচ লাইনের ভিতরে ইনক্লুড করে দেবেন। যদি ভূমিকাতে সঠিক ইনফরমেশন না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি যতই বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম মেনে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন না কেন কাঙ্ক্ষিত ভিজিটর ওই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে না। এজন্য ভূমিকাতে ক্লিয়ার ইনফরমেশন দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নিচে ভূমিকা লেখার নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো।
- আর্টিকেলে কি কি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে সেটি ভূমিকাতে তুলে ধরা প্রয়োজন।
- বাংলা আর্টিকেল সাইট গুলোতে বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণরা কোন ক্যাটাগরির ভাষাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবে সে অনুযায়ী লিখতে হবে।
- মেটা ডিস্ক্রিপশন এবং ভূমিকা দুটি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা হবে থাকবে।
- ভূমিকা লেখার শুরুর আগে কোনরকম গ্যাপ থাকা যাবে না।
- ভূমিকার প্রথম অংশে দুই থেকে তিনবার প্রধান ফোকাস কিওয়ার্ড যুক্ত করতে হবে।
- প্রথম লাইনের বাক্যের মধ্যে একবার মেন ফোকাস কিওয়ার্ড রাখলে ভালো হয়।
- আলাদা আলাদা আর্টিকেলের ভূমিকা লেখার বিষয়গুলো আলাদা রাখতে হবে। অর্থাৎ একই ধাঁচে লেখা যাবে না।
- যদি একাধিক মেন ফোকাস কিওয়ার্ড থাকে সেক্ষেত্রে কম করে বসাতে হবে।
- পুরো আর্টিকেলে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ বার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড বসিয়ে দিতে হবে।
- মেইন ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো বসানোর সময় অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হলো কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
তৃতীয় ধাপ (ফিচার ইমেজ)
একটি আর্টিকেলকে আরো প্রফেশনাল এবং প্রাণবন্ত করে তোলে উপযুক্ত মানের একটি ইমেজ। অনেক সময় আমরা যখন আর্টিকেল এর লিংক সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করি তখন আমাদের সামনে ওয়েবসাইটের টাইটেল, শিরোনাম এর সঙ্গে ইমেজ চলে আসে। এতে করে ইমেজের পরিপ্রেক্ষিতে সেখান থেকে ভিজিটর আসার প্রবণতা বেশি থাকে। পাশাপাশি একজন পাঠক যখন আর্টিকেলে প্রবেশ করে তখন সর্বপ্রথম টাইটেল, শিরোনাম এরপর ইমেজের দিকে চোখ যায়।
এজন্য আপনার আর্টিকেলের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে এরকম ইমেজ পছন্দ করা প্রয়োজন। আপনার আর্টিকেলের সাথে যেন ইমেজটি অর্থবহ হয় সে বিষয়েও নজর দিতে হবে। প্রাসঙ্গিক ইমেজ ব্যবহার করার কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হল।
- টাইটেল ও ফিচার ইমেইজের text যেন অবশ্যই ভিন্নতা পায়। অর্থাৎ আলাদা আলাদা হতে হবে।
- আর্টিকেলের অভ্যন্তরে ছবি বা ইমেজ গুলো সেন্টার অ্যালাইনমেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
- পরিশেষে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেটির সঙ্গে মিল রেখে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে ইমেজ সিলেক্ট এবং আপলোড করতে হবে।
- ইমেজ আপলোড করার পরে ভূমিকার বাকি অংশ নিচে দিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ ভূমিকার বাকি তিন থেকে চার লাইন ইমেজে নিচে থাকবে।
চতুর্থ ধাপ (পোস্ট সূচীপত্র)
আমরা যখন কোন ওয়েবসাইটের আর্টিকেলে প্রবেশ করি তখন আমাদের চোখে প্রথমেই পড়ে পোস্ট সূচিপত্র। বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুযায়ী যদি আপনি আর্টিকেল লিখতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পশ সূচিপত্র সম্পর্কে জানা উচিত। সূচিপত্র তে ইনপুট থাকে যে আপনি কোন কোন তথ্যগুলো আর্টিকেলে লিখেছেন। সুতরাং একজন পাঠক আপনার আর্টিকেলের প্রবেশ করার পর তার প্রয়োজন অনুসারে সে বিষয়টির উপর ক্লিক করে সরাসরি সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। নিচে পোস্ট সূচীপত্র লেখার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশ্লেষণ করা হলো।
- সব ধরনের হেডিং অথবা সাব হেডিং সহ সাব ফোকাস কিওয়ার্ড গুলো পোস্ট সূচিপত্রের অভ্যন্তরে থাকবে।
- পোস্ট সূচীপত্যের প্রত্যেকটি হেডিং অথবা সাব হেডিং কিওয়ার্ড কে নাম্বার লিস্টিং করতে হয়।
- নাম্বার লিস্টিং এর পরে কিবোর্ড থেকে ট্যাব চাপ দিলে সেই নাম্বার লিস্টের মধ্যে তার প্রকারভেদ অনুযায়ী লিস্টিং কার্যক্রম শুরু হবে।
- নতুনভাবে নাম্বার লিস্টিং করতে চাইলে কিবোর্ড থেকে Shift + Tab বাটনে চাপ দিলে নতুন লিস্টিং শুরু হবে।
পঞ্চম ধাপ (হেডিং-সাব হেডিং এবং সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড লেখার নিয়ম)
আর্টিকেল রাইটিং এর অন্যতম বিষয় হলো প্যারা অনুযায়ী লেখা। ভালো মানের বাংলা আর্টিকেল সাইট গুলোতে লক্ষ্য করবেন তারা সৃজনশীলতার সহিত প্যারা আকারে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা। প্রত্যেকটি প্যারাতে যেন ৪ থেকে ৫ লাইন লেখা থাকে সে বিষয়টি লক্ষ্য। যদি ৫ লাইন এর বেশি হয় সে ক্ষেত্রে কয়েকটি প্যারাতে বিভক্ত করে লিখতে হবে। একটি হেডিং বা সাব হেডিং প্যারাগ্রাফ শিরোনামের মধ্যে যতগুলো প্যারাগ্রাফ লিখলে সেটি সম্পূর্ণ মনে হবে ঠিক ততগুলো লেখা প্রয়োজন।
নিচে পর্যায়ক্রমে প্যারাগ্রাফ শিরোনাম, হেডিং বা সাব হেডি অথবা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড লেখার নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো।
- প্যারাগ্রাফ হেডিং অথবা সাব হেডিং এবং সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড লার্জেস্ট করতে হবে।
- প্রতিটি হেডিং অথবা সাব হেডিং গুলোতে কিওয়ার্ড বসানোর সময় স্পেসিফিক কুয়েরির কিওয়ার্ড যুক্ত করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- একটি প্যারার মধ্যে যদি ১০ লাইন এর বেশি হয় তাহলে অবশ্যই দুইভাগে বিভক্ত করতে হবে।
- প্রত্যেকটি প্যারাতে ৪ থেকে ৫ লাইন লিখে তারপর নতুন প্যারা শুরু করার সময় কি বোর্ড থেকে ২ বার এন্টার দিয়ে নতুন প্যারা শুরু করা প্রয়োজন।
ষষ্ঠ ধাপ (আরো পড়ুন সেকশন)
আপনি যে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আর্টিকেল লিখছেন সে বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে অন্য একটি আর্টিকেল যুক্ত করার বিষয়টি হলো “আরো পড়ুন সেকশন”। যেমন আজকে আমরা এই আর্টিকেলে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করছি। এটির সঙ্গে মিল রয়েছে এরকম আরো একটি আর্টিকেল যদি এখানে এসে “আরো পড়ুন” হিসেবে যুক্ত করি তাহলে পাঠক এই বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে অন্য আরেকটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে। এতে করে পাঠক যেমন উপকৃত হয় আপনার পেইজে ট্রাফিক সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। আরো পড়ুন লেখার নিয়মগুলো নিচে দেওয়া হল।
- আরো পড়ুন সেকশনটি অবশ্যই দুই প্যারাগ্রাফের মাঝখানে বসাতে হবে।
- আরো পড়ুন সেকশন সব সময় নিচের দিকে বসানোর চেষ্টা করতে হবে।
- পুরো প্রশ্নের মধ্যে আরও পড়ুন সেকশন ৩ বারের বেশি দেওয়া যাবে না।
- আরো পড়ুন সেকশনে রিলেটেড ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল রয়েছে এরকম পোস্টের লিংক যুক্ত করা উচিত।
সপ্তম ধাপ (উপসংহার)
বাংলা আর্টিকেল রাইটিং এর সর্বশেষ ধাপ হল উপসংহার। এদিকে আমরা অনেক সময় লেখক এর শেষ কথা, আমাদের শেষ কথা বা শেষ কথা বলে উপনীত করে থাকি। তবে যেটা বলে সম্বোধন করা হোক না কেন এই শেষ পর্যায়ে এসে আপনার কিছু মতবাদ এখানে যুক্ত করতে হবে। পুরো আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু এখানে এসে উপস্থাপন করতে হয় এটি পাঠক সর্বশেষে ভালো একটি মেসেজের অপেক্ষা করে। সুতরাং এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে উপসংহার লেখার সময় অবশ্যই ভালো কিছু পরামর্শ এবং কথা ইনক্লুড করা প্রয়োজন। বাংলা আর্টিকেল রাইটিং এর শেষ ধাপের উপসংহার বিষয়ে কয়েকটি নিয়ম তুলে ধরা হলো।
- আর্টিকেল রাইটিং এর লেখকের শেষ মন্তব্য এই পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২০০ ওয়ার্ডের প্যারা লিখতে হবে।
- শেষ মন্তব্যের একটি প্যারার মধ্যে সর্বোচ্চ চার লাইন রাখা যাবে।
- শেষ কথা যদি চার লাইনের বেশি হয় সেক্ষেত্রে আরও একটি নতুন প্যারা এন্টার বাটনে চাপ দিয়ে শুরু করতে হবে।
- অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত এবং উপকারী তথ্য প্রদান করতে হবে যেন পাঠ হোক উপকৃত হয়।
বাংলা আর্টিকেল সাইট
আপনি যদি ইচ্ছে করেন বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুযায়ী ভালো মানের আর্টিকেল রাইটিং করতে সক্ষম হন সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাইট থেকে ভালো একটি অ্যামাউন্ট জেনারেট করতে পারবেন। তবে যে সকল সাইডে এ ধরনের কর্মী হায়ার করা হয় তাদেরকে শুধুমাত্র যাচাই-বাছাইয়ের উপর নির্ভর করেই কাজ প্রদান করা হয়ে থাকে। এজন্য সে সকল সাইটে যোগাযোগ করার পূর্বে অবশ্যই বাংলা আর্টিকেল রাইটিং বিষয়ে এ টু জেড ধারণা নিতে হবে।
আপনি যদি বাংলা ব্লগ লেখার নিয়ম গুলো খুব ভালোভাবে জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেই সকল সাইটে কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। আমরা ইতিমধ্যে বাংলা ব্লগ লেখার নিয়ম বিষয়গুলো উপরে পুঙ্খানুপুঙ্হ রূপে আলোচনা করেছি। আপনি চাইলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পুনরায় পড়ে নিবেন। নিচে বাংলা আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম করা যাবে এ ধরনের কিছু আইটি সেন্টার এবং ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট এর তালিকা দেওয়া হলো।
- ট্রিকবিডি.কম (TrickBD.com)
- জেআইটি.কম.বিডি (jit.com.bd)
- গ্রাথোর.কম(Grathor.com)
- অর্ডিনারি আইটি.কম(Ordinary.com)
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলের উপরের অংশগুলো লক্ষ্য করেন সেখানে আমরা বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো খুব ভালোভাবে আলোচনা করেছি। এখন প্রশ্ন আসতে পারে ব্লগে আর্টিকেল লেখার জন্য আরো কি নিয়ম আছে কিনা। উপরে আমরা যে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করলাম এগুলো শুধুমাত্র আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু আপনি যখন ব্লগে আর্টিকেল লিখতে যাবেন তখন আরো কিছু বিষয় ফলোআপ করার মাধ্যমে আর্টিকেল পাবলিশ করতে হয়।
অর্থাৎ ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং এবং আরো কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় সবগুলো মিলিয়ে একটি আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করে। চলুন তাহলে পর্যায়ক্রমে ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক।
পার্মালিঙ্ক যুক্ত করণ (Permalink Add)
আপনি যদি ব্লগ ওয়েবসাইট বা বাংলা আর্টিকেল সাইট নিয়ে কাজ করেন বা করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে পার্মালিঙ্ক যুক্ত করণ এ বিষয়টি জানার গুরুত্ব অনেক। এটি সাধারণত একটি আর্টিকেলের সম্পূর্ণ সোর্স লিংক। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন একটি ওয়েবসাইট অথবা পোস্টের লিংকের লাস্টের দিকে কিছু কথা (-) হাইপেন আকারে ইনক্লুড থাকে। এটি সাধারণত পার্মালিঙ্ক যুক্ত করণ। এ ধরনের বিষয়গুলো যুদ্ধ করার একমাত্র কারণ হলো আর্টিকেলটি খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া।
পাশাপাশি ওয়েবসাইট ভেদে নিজস্ব পার্মালিঙ্ক ব্যবহার করলে Google কর্তৃপক্ষ সেটি ভালো চোখে দেখে। নিচে পার্মালিঙ্ক যুক্ত করার নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো।
- পার্মালিঙ্ক ক্রিয়েট করার সময় অবশ্যই ইংলিশ কিওয়ার্ড অনুযায়ী ২ থেকে ৫ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে।
- একের অধিক শব্দ যদি পার্মালিঙ্ক যুক্ত করণ করতে হয় সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি শব্দের মাঝখানে (-) হাইপেন ব্যবহার করতে হবে।
- পার্মালিঙ্ক যুক্ত করার সময় (a, an, the, or, and, of) এ জাতীয় বিষয় ব্যবহার করা যাবে না।
- আপনি আর্টিকেলে যে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন সেটি মূলত পার্মালিঙ্কে যুক্ত করতে হবে।
মেটা ডেসক্রিপশন (Meta Description)
মেটা ডেসক্রিপশন বা সার্চ ডেসক্রিপশন যেটা বলুন না কেন Google রেঙ্কে আসার জন্য এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে মেটা ডেসক্রিপশন লেখার সময় অবশ্যই অসামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু লেখা যাবে না। পাশাপাশি সার্চ ডেসক্রিপশন এ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুযায়ী যে সকল বিষয় আপনার আর্টিকেলে ইনক্লুড করা আছে সে সম্বন্ধেই সামারী আকারে লিখতে হবে। সাধারণত মেটা ডেসক্রিপশন এর সামারি লেখার জন্য ৫০ শব্দের বেশি লেখা যায় না বা লেখার অপশন থাকে না।
তাহলে এই ৫০ শব্দের মধ্যেই আপনাকে পুরো ঘটনা বা বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। মেটা ডিস্ক্রিপশন লেখার আরো একটি সুবিধা হল এটি লেখার পরিপ্রেক্ষিতে google সহজেই বুঝতে পারে আপনার আর্টিকেলটি কোন বিষয়ে লেখা। পরবর্তীতে যখন পাঠক উক্ত বিষয়টি লিখে সার্চ করে তখন তার সামনে আপনার আর্টিকেলটি প্রদর্শিত করা হয়।
পোস্ট ফরমেট বা বক্তব্য উপস্থাপন (Post Format)
আর্টিকেল লেখার সময় পুরো পোস্টকে জাস্টিফাই এলাইনমেন্ট করতে হয়। এটি করার পরিপ্রেক্ষিতে আর্টিকেলটিকে একটি বইয়ের পাতার মতো মনে হয়। অর্থাৎ প্রত্যেকটি লাইন সোজা এবং সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সারিবদ্ধ হয়ে যায়। এরকম বইয়ের পাতার মতো দেখা গেলে অবশ্যই পাঠকের করার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি হবে। পাঠকের আর্টিকেলটি পড়ার আগ্রহ তৈরি করার জন্যই সাধারণত পোস্ট ফরম্যাটিং করা জরুরী। পোস্ট ফরম্যাটিং করার জন্য সম্পূর্ণ পোস্টকে জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট এ রাখতে হবে।
আর্টিকেল জাস্টিফাই এলাইনমেন্ট ব্যবহার করার জন্য ব্লগ ওয়েবসাইটের উপরের অংশে খেয়াল করুন। আর্টিকেলের লেখাগুলো জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট করার পাশাপাশি ফিচার ইমেজগুলো সেন্টার এলাইনমেন্ট করতে হবে। বক্তব্যগুলো উপস্থাপন করার পরিপেক্ষিতে লেফট ইন্ডেন্ট রাইট ইন্ডেন্ট ব্যবহার করা উচিত। অথবা উপস্থাপিত বাক্যটি “বক্তার বক্তব্য” অর্থাৎ কোটেশনের মধ্যে রাখতে হবে।
নো ফলো-ডু ফলো ব্যবহার (No Follow-Do Follow)
বাংলা আর্টিকেল সাইট বা যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা হয় ওই ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট এর লিংক যদি আর্টিকেলের মধ্যে দিতে হয় সে ক্ষেত্রে ডুৎফলো ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে অবশ্যই নো ফলো ট্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ আপনি যে ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখছেন সেই ওয়েবসাইটটির কোন পোষ্টের লিংক যদি আর্টিকেলের মধ্যে দিতে না চান এবং
অন্য কোন আলাদা ওয়েবসাইটের লিংক দিতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে নো ফলো ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। তবে এগুলোর পরিবর্তে আপনি নন ফাংশনাল লিংক ব্যবহার করতে পারেন। নিচে বিষয়গুলো আরো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হলো।
- এক্সটার্নাল লিঙ্ক মূলত নো ফল। অর্থাৎ যদি কোন ওয়েবসাইটের লিংক বা অন্য ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট এর লিংক নিজের আর্টিকেলের মধ্যে দেওয়ার প্রয়োজন মনে হয় তাহলে নো ফলো ব্যবহার করতে হবে।
- ইন্টারনাল লিংক সাধারণত ডু ফলো। যদি আপনার নিজের ওয়েবসাইটের কোন আর্টিকেলের লিংক অন্য আরেকটি আর্টিকেলে যুক্ত করতে হয় তাহলে ডু ফলো ব্যবহার করতে হবে।
- অন্য ওয়েবসাইটে লিংক দেওয়ার সময় নন ফাংশনাল লিংক দেওয়া প্রয়োজন। নো ফলো ট্যাগের চাইতে এ বিষয়টি বেশি কার্যকর।
শেষ কথা
বন্ধুগণ আমরা আজকের এই আর্টিকেলে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে অনেক তথ্য জ্ঞাপন করতে পারলাম। আশা করি আপনারা বাংলা আর্টিকেল সাইট গুলো সম্পর্কেও অবগত হতে পেরেছেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি একটি টার্গেট সিলেক্ট করেন অর্থাৎ আগামী কয়েক মাস আর্টিকেল রাইটিং সম্বন্ধে জানবেন এবং এরপরে নিজস্ব ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন রকম ইনফরমেশন এর প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের আর্টিকেলটি তথ্যসমৃদ্ধ হিসেবে পাবলিশ করার। আমরা কিভাবে তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেলগুলো তৈরি করে থাকি সেগুলো জানতেও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। এরকম তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেলগুলো প্রতিনিয়ত পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং আজকের এই বিষয়টি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য অবশ্যই শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url