মার্কেটিং কত প্রকার-Content Marketing এর Strategy কয়টি

প্রিয় গ্রাহক content marketing এর strategy কয়টি এই সম্পর্কে জানতে আমাদের আজকের ব্লগ পোস্টে ভিজিট করুন এবং কনটেন্ট মার্কেটিং শেখার জন্য আপনাকে কি কি কৌশল অবলম্বন করতে হবে যাবতীয় সমস্ত তথা আজকের ব্লগ পোস্টে শেয়ার করা হবে। পাঠক আপনারা তো নিশ্চয়ই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং এর কথা শুনেছেন! কন্টেন্ট মার্কেটিংও তাদের মধ্যে একটি। 
Content-Marketing-এর-Strategy-কয়টি
এটি কেবলমাত্র বিক্রয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। কনটেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটা পদ্ধতি যেটার মাধ্যমে ব্যান্ডের বিশ্বস্ততা গড়ে তোলা সম্ভব। আমাদের আজকের ব্লগ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এক্সপ্লোর করার মাধ্যমে তোমরা content marketing এর strategy কয়টি এর পাশাপাশি আরও যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে সেগুলো হল— effective content writing এর উদাহরণ কোনটি, মার্কেটিং কত প্রকার, কনটেন্ট কত প্রকার, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে গ্রাহকদেরকে আকৃষ্ট করতে কনটেন্ট মার্কেটিং মূল মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠেছে। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে যত প্রকার মার্কেটিং পলিসি আছে তার মধ্যে কন্টেন্ট মার্কেটিং খুবই কার্যকরী। কিন্তু কন্টেন্ট মার্কেটিং শেখার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল রয়েছে যেগুলো অনেকেরই অজানা। কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের সমস্ত স্ট্রাটেজি গুলো বুঝতে পারলে কনটেন্ট মার্কেটিং করা আপনাদের জন্য খুবই সহজ হবে এবং এটিকে আপনি পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। content marketing এর strategy কয়টি এই সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হওয়া সম্ভব। 

কন্টেন্ট মার্কেটিং সফলভাবে পরিচালনা করা করার প্রথম ধাপ হলো লক্ষ্য নির্ধারণ করা। প্রথমেই আপনাকে এমন ভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে যাতে করে আপনার কাজের মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি পায় এবং প্রচারের কাজগুলো খুবই স্পষ্টভাবে করা হয়। আপনার কনটেন্ট কিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হচ্ছে বা কার জন্য তৈরি করা হচ্ছে এটি সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। যাকে টার্গেট অডিয়েন্স বলা হয়। যে সকল অডিয়েন্সকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হচ্ছে তাদের নিকট যেন কনটেন্ট গুলো পৌঁছে যায় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। 
কন্টেন্ট মার্কেটিং এর যতগুলো কৌশল রয়েছে তার মধ্যে প্রধান কৌশল হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন পদ্ধতি ফলো করে প্রতিটি কনটেন্ট তৈরি করা। এর ফলে কনটেন্টের রেঙ্ক দ্রুত বাড়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর জনপ্রিয় একটি কৌশল হচ্ছে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা। ভিডিও রিলেটেড কনটেন্টে বিভিন্ন প্রোডাক্টের উপর টিউটোরিয়াল ভিডিও এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বৈশিষ্ট্য গ্রাহকদের নিকট তুলে ধরা যেতে পারে। এতে করে গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার প্রতি আকর্ষিত হবে।

effective content writing এর উদাহরণ কোনটি

content marketing এর strategy কয়টি এই সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনাদেরকে জানতে হবে effective content writing এর উদাহরণ কোনটি। ইফেকটিভ কন্টেন্ট রাইটিং বলতে বোঝায় এমন ধরনের কনটেন্ট রাইটিং যে কনটেন্টে শুদ্ধ ও সুন্দর ভাষা প্রয়োগ করে কন্টেন্ট তৈরি করা হয়। ইফেকটিভ কনটেন্ট লেখার দক্ষতা সবার মধ্যে থাকে না। ইফেকটিভ কনটেন্ট লেখার জন্য আপনাকে প্রচুর দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং কন্টেন্টকে সঠিক গঠনশৈলির অনুযায়ী দর্শকদের নিকট রিপ্রেজেন্ট করতে হবে। ইফেকটিভ কন্টেন্ট রাইটিং এর কয়েকটি মূল বিষয় উদাহরনসহ ব্যাখ্যা করা হলো:
  • ইফেকটিভ কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে প্রথমেই তুলে ধরতে হবে স্পস্ট উদ্দেশ্য যাতে করে পাঠক পড়ার শুরুতেই বুঝতে পারে এই কনটেন্টটি কিসের উপর ভিত্তি করে কেন তৈরি করা হয়েছে। যেমন- আপনি যদি ইলেকট্রিক পণ্যের উপর রিভিউ লিখতে চান তাহলে আপনার উদ্দেশ্য হবে পাঠককে সেই ইলেকট্রিক পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়া এবং কেন তার এই পন্যটি কেনা উচিত সে বিষয়ে বোঝানো।
  • পাঠকের কথা মাথায় রেখে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। প্রতিটি কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে কন্টেনটের ভাষা, টোন, স্টাইল, অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ প্রতিটি কনটেন্ট বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য উপযোগী। উদাহরণস্বরূপ- যদি তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে কোনো কন্টেন্ট লিখে থাকেন তাহলে এটি অবশ্যই মজাদার ও সহজ ভাষার হতে হবে যাতে করে তরুণ তরুণীরা পড়ে আপনার ব্লগ পোস্টের প্রতি আকৃষ্ট হয়। অপরদিকে যদি কর্পোরেট লাইফ রিলেটেড কোনো কন্টেন্ট লেখার চেষ্টা করেন তাহলে পেশাদার ভিত্তিক ও আনুষ্ঠানিক ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
  • ইফেকটিভ ভাবে কন্টেন্ট লিখতে হলে অবশ্যই মূল পয়েন্টে ফোকাস করতে হবে। আপনার কন্টেন্টের টপিক যদি হয়ে থাকে “ডায়েট কিভাবে করতে হয়” তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডায়েট করার প্রতিটি ধাপ তুলে ধরতে হবে যাতে করে পাঠকরা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারে এবং তাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারে।
  • ইফেকটিভ কন্টেন্ট রাইটিং এর আরো একটি প্রয়োজনীয় টিপস হচ্ছে এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লেখা। এসইও শব্দের অর্থ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যেমন- আপনি যদি ইফেক্টিভ কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে কোনো ধরনের পোস্ট লিখতে চান তাহলে সেখানে আপনার পোস্টে মূল কিওয়ার্ড হবে কন্টেন্ট রাইটিং, ইফেকটিভ রাইটিং। এছাড়াও আপনার কন্টেন্ট এ প্রয়োজনমতো হেডিং ও সাবহেডিং এর প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রতিটি হেডিং এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে যাতে করে পোস্টগুলো রাংক করে।
  • ইফেকটিভ কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে এক ধরনের সৃজনশীল দক্ষতা যেটি আপনাকে অনেক পরিশ্রম করে অর্জন করে নিতে হবে। ইফেক্টিভ কন্টেন্ট লেখার জন্য আপনাকে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের শিক্ষনীয় পোস্ট পড়ার অভ্যাস রাখতে হবে এতে করে আপনি সুন্দরভাবে কন্টেন্ট উপস্থাপন করতে পারবেন।

মার্কেটিং কত প্রকার

প্রিয় গ্রাহক ইতিমধ্যে আমরা content marketing এর strategy কয়টি এই নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছি। এখন আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করব মার্কেটিং কত প্রকার। মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি ব্যবসা বা ব্র্যান্ডকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। মার্কেটিং এর কার্যক্রম শুধুমাত্র ব্যান্ড বা পণ্য প্রচার করে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি গ্রাহকদের সাথে ব্র্যান্ড মালিকদের গভীর সংযোগ স্থাপন করে। 

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য বাজারে টিকে থাকার জন্য মার্কেটিং কার্যক্রম খুবই অপরিহার্য এবং মার্কেটিং এর কাজটি করার জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল জেনে রাখা জরুরী। মার্কেটিং বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তার মধ্যে সেরা ৫ প্রকার মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

টার্গেট মার্কেটিং

টার্গেট মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং কৌশল যেখানে কোনো গ্রাহককে কেন্দ্র করে মার্কেটিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এতে করে ব্যবসা বা ব্র্যান্ড তাদের পণ্যগুলোকে টার্গেট করা গ্রাহক গোষ্ঠীর কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারে এবং গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা সার্ভিস প্রদান করে থাকে। টার্গেট মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সুনির্দিষ্ট গ্রাহকদেরকে সার্ভিস দিয়ে সন্তুষ্ট করে তোলা যাতে করে তারা পরবর্তীতে সেই ব্র্যান্ডের দোকান থেকে পন্য কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এতে করে গ্রাহক ও ব্র্যান্ডের মালিকদের সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্মের এমন এক ধরনের মার্কেটিং কার্যক্রম যেটি সম্পন্ন করতে শুধুমাত্র মোবাইল ও ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক চাহিদা বেড়েছে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে জনপ্রিয় পেশায় পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রয়োজন হয়। যেমন- facebook, instagram, twitter, tiktok। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে সবাই স্বাচ্ছন্দবোধ করে। 
বর্তমানে সবাই নিজস্ব ইলেকট্রিক ডিভাইসে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে যেমন ই-মেইল মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং কার্যক্রম যেখানে সমাজের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে ইনফ্লুয়েন্সারের কাজ করানোর জন্য বাছাই করা হয়। তারা ইনফ্লুয়েন্সার ব্যক্তি হিসেবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে চুক্তি করে থাকে এবং তাদের পণ্যগুলো গ্রাহকদের নিকট প্রচার করে এতে করে ব্যবসায়ীদের পণ্যগুলো সারা বিশ্বে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। উদাহরনস্বরূপ- বর্তমানে ফেসবুক/ ইনস্টাগ্রাম ওপেন করলেই দেখা যায় কিছু ব্যবসায়ীদের পণ্যগুলো ব্যবসা শুরু করার এক মাসের মধ্যেই অনেকটা জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ তারা বিভিন্ন জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে মার্কেটিং কাজ সম্পন্ন করেছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

কিছুদিন আগে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য একটি পোস্টে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জেনেছি। মার্কেটিং বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে তার মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি কৌশল যেখানে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে পণ্য বা সেবাগুলো গ্রাহকদের নিকট প্রচার করা হয়। সেই প্রচারের মাধ্যমে যে পরিমাণ বিক্রি হবে প্রতিটি বিক্রির উপর ভিত্তি করে তৃতীয় পক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন দেয়া হয়। এই কমিশনটি হচ্ছে সেই ব্যক্তিটির ইনকাম। 

উদাহরণস্বরূপ- ফ্যাশন ব্লগার যদি নির্দিষ্ট কোনো পণ্য সম্পর্কে রিভিউ লিখে এবং সে পণ্যটি কেনার জন্য গ্রাহকদের নিকট লিংক শেয়ার করে এরপর কেউ যদি সে পণ্যটি ক্রয় করে স্যাটিসফাইড হয় তাহলে সেই ব্লগার কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন লাভ করবে।

গেরিলা মার্কেটিং

অনেকের কাছে গেরিলা মার্কেটিং শব্দটি অপরিচিত মনে হতে পারে। কিন্তু আপনারা সাধারণত অনেক জায়গায় গেরিলা মার্কেটিং দেখে থাকবেন। গেরিলা মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের সৃজনশীল মার্কেটিং কৌশল যেটির মাধ্যমে কম খরচে গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। গেরিলা মার্কেটিং সাধারণত সৃজনশীল বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন পণ্যের ফ্ল্যাশমব অথবা ভাইরাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। গেরিলা মার্কেটিং এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে কোম্পানির পণ্যের প্রতি গ্রাহকদের আকর্ষণ তৈরি করা যাতে করে কোম্পানি অথবা ব্র্যান্ড গ্রাহকদের আকর্ষণকে দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে।

প্রিয় পাঠক এগুলো হলো সেরা পাঁচ প্রকার মার্কেটিং কৌশল। এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং স্ট্রেটেজি রয়েছে যেমন-
  • relationship marketing
  • retail marketing
  • ট্রেডিশনাল মার্কেটিং
আপনার কোম্পানির পণ্যগুলো সম্প্রচার করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের মার্কেটিং কৌশল ফলো করতে হবে সেটা সম্পূর্ণ আপনার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স ও পণ্যের ধরনের উপর নির্ভর করে। আপনি আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যে কোনো মার্কেটিং কৌশল আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন।

কনটেন্ট কত প্রকার

content marketing এর strategy কয়টি এই সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার পূর্বে আপনাদের জানা দরকার কন্টেন্ট কত প্রকার। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার সুযোগ রয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা ও প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার পছন্দমত বিভিন্ন ডিজাইনের ও বিভিন্ন কোয়ালিটির কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। ডিজিটাল যুগে কনটেন্ট এমন একটি মাধ্যম যেটির মাধ্যমে আপনি বিনোদন লাভ করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। 
কন্টেন্ট শুধু একটি টেক্সট নয় বরং এটি বিভিন্ন ফরমেটে তৈরি হতে পারে। কনটেন্ট বিভিন্ন প্রকার হতে পারে তার মধ্যে সেরা চার প্রকার কন্টেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

টেক্সট কন্টেন্ট

আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যখন প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে সার্চ করেন তখন আপনাদের টপিকের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রেজাল্ট শো করে এবং সেখান থেকে আপনারা বিভিন্ন আর্টিকেল/ জার্নাল/ ওয়েব পেজে ভিজিট করার মাধ্যমে আপনাদের টপিক সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের লিখিত তথ্য খুঁজে পান। ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, ই-বুক, এগুলো টেক্সট কন্টেন্টের অন্তর্ভুক্ত। টেক্সট কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে যাতে করে আপনার লেখা কোন টেক্সট পড়ার মাধ্যমে গ্রাহকরা কিছু শিখতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগাতে পারে।

ভিজু্য়াল কনটেন্ট

ভিজু্য়াল কনটেন্ট হচ্ছে এমন এক ধরনের কনটেন্ট যা বিভিন্ন ধরনের চিত্র, গ্রাফিক্স, ডায়াগ্রাম এর মাধ্যমে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ভিজুয়াল কন্টেন্টের মাধ্যমে খুব দ্রুত তথ্য শেয়ার করা সম্ভব।ইনফোগ্রাফিক্স, ফটোগ্রাফি এগুলো ভিজুয়াল কন্টেন্টের অন্তর্ভুক্ত। ইনফোগ্রাফিক্স হচ্ছে এমন একটি চিত্র যেখানে প্রয়োজনীয় ডেটা ডায়াগ্রাম ও চার্ট আকারে গ্রাহকদের নিকট তুলে ধরা হয়। এর ফলে গ্রাহকরা জটিল তথ্যগুলোকে সহজভাবে বুঝে উঠতে পারে। ফটোগ্রাফি হচ্ছে বিভিন্ন ছবি বা চিত্রের মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করা। এখানে বিভিন্ন ঘটনাকে বা মুহূর্তকে চিহ্নিত করে ভিজুয়াল কনটেন্টে রূপান্তরিত করা হয়।

অডিও কন্টেন্ট

অডিও কন্টেন্ট হচ্ছে এমন এক ধরনের কনটেন্ট যেটি দেখা যায় না শুধুমাত্র শোনা যায়। অডিও কনটেন্টও ভিডিও কনটেন্ট এর মত বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর পর্যবেক্ষণ করে তৈরি করা হয়। শুধুমাত্র দুটির মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে অডিও কনটেন্টে কোন কিছু দেখা যায় না শুধুমাত্র শোনা যায়। বর্তমানে ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন ধরনের পডকাস্ট অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। যেখানে পডকাস্টের মাধ্যমে মানুষ বাস্তবসম্মত কোনো ঘটনাকে তুলে ধরে এবং দর্শকরা সেগুলো শুনার মাধ্যমে শিক্ষা নিতে পারে যে শিক্ষাগুলো তাদের ব্যক্তিগত জীবনে কাজে আসতে পারে। মিউজিক ভিডিও সাধারণত দর্শকদেরকে বিনোদন দেওয়ার জন্যই তৈরি করা হয় এতে করে দর্শকরা মানসিকভাবে প্রশান্তি পায়।

ভিডিও কন্টেন্ট

ভিডিও কন্টেন্ট হচ্ছে এমন এক ধরনের কনটেন্ট যেটি বিভিন্ন ধরনের চলমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়। বর্তমান যুগে অন্যান্য কন্টেন্টের তুলনায় ভিডিও কনটেন্ট খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ভিডিও কনটেন্ট তিন ধরনের হয়ে থাকে লং ভিডিও, শর্ট ভিডিও এবং লাইভ স্ট্রিমিং। শর্ট ভিডিও গুলো সাধারণত এক মিনিট অথবা ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ডের হয়ে থাকে। যেগুলোকে বর্তমানে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম রিলস বলা হয়। 

আজ থেকে কয়েক বছর পূর্বে ইউটিউবেও শর্ট ভিডিওর প্রচলন ছিল না। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের সহায়তায় ইউটিউবেও শর্ট ভিডিও বা রিলসের প্রচলন দেখা যায়। এই সকল শর্ট ভিডিও দর্শকদেরকে বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক কন্টেন্ট দিয়ে থাকে।
বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার অপশন রয়েছে। কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের পছন্দনীয় কাজের উপর লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে থাকে এবং কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনার কোন কাজটি করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেদিকে ফোকাস করা উচিত। তাহলে কন্টেন্ট তৈরি করে আপনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীও হতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ব্র্যান্ড অথবা পণ্য মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যত প্রকার মার্কেটিং পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন, টিকটক এগুলো প্রয়োজন হয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং যে কোনো ব্র্যান্ড বা পণ্যের তথ্য দ্রুত ক্রেতার নিকট প্রচার করতে সহায়তা করে এবং দ্রুত একটি ব্র্যান্ডের সুনাম বৃদ্ধি হয়। প্রিয় পাঠক, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সংক্রান্ত একটি পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে অলরেডি পাবলিশ করা আছে। 

আপনারা চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সংক্রান্ত কোনো আর্টিকেল খুজে থাকলে আমাদের এই social media marketing পোস্টটিতে অবশ্যই ভিজিট করবেন। এতে করে আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে করে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য কি কি প্লাটফর্ম প্রয়োজন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা কি যাবতীয় সমস্ত তথ্য আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং লিখে সার্চ দেন তাহলে আরো যে সকল তথ্য পাবেন সেগুলো হলো- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য কি কি অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন, 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোর্স কিভাবে করে পণ্য বা ব্যান্ডকে গ্রাহকদের নিকট উপস্থাপন করা যায় ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুধুমাত্র পণ্য বা সেবা সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি গ্রাহকদের সাথে ব্র্যান্ডের মালিকদের গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে এতে করে গ্রাহকরা বিশ্বস্ত কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়।

উপসংহার

প্রিয় গ্রাহক content marketing এর strategy কয়টি এই সম্পর্কে আপনারা যারা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে সার্চ বক্সে সার্চ করলে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন এবং আপনাদের পরিচিত কোনো ব্যক্তি যদি কন্টেন্ট মার্কেটিং কৌশল সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে চায় তাহলে তাদের সাথে আজকের ব্লগপোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন। অনেকেই content marketing এর strategy কয়টি এগুলো জানতে ও শিখার সময় খুবই কঠিন মনে করে যার কারণে অনেকে শিখতে চায় না। 

তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই content মার্কেটিং আপনি যদি ধৈর্য সহকারে একবার শিখে নিতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে এটিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন এবং ঘরে বসেই কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে সফল হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url