মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ-ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম জানুন
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানাটা সে সকল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জরুরি যারা বর্তমানে মাত্র ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কমপ্লিট করেছে। অর্থাৎ একজন বিগিনার বা বেসিক লেভেলের ফ্রিল্যান্সার ফাইবারে একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে অতটাও অবগত নয়। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলো পর্যালোচনা করার চেষ্টা করব। উক্ত বিষয়টি বাদে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হল ফাইবার কি এবং ফাইবার এর কাজ কি সম্পর্কে।
পাশাপাশি ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ অনুযায়ী একজন ব্যক্তি কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করতে পারবে সে বিষয়টিও আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করব। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। কেননা আর্টিকেলের কোন একটি অংশ যদি আপনি মিস করেন তাহলে ফাইবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হবে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন না।
পোস্ট সূচীপত্র
ফাইবার কি
ফাইবার (fiverr) মূলত ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের স্কিল অনুযায়ী ফাইবার মার্কেটপ্লেসে একটি পোর্টফোলিও সহকারে প্রফেশনাল মানের একাউন্ট তৈরি করে। পরবর্তীতে সেই অ্যাকাউন্টটি ভিজিট করে বিভিন্ন দেশের বায়ার যারা সার্ভিসগুলো ক্রয় করতে চায়। ফাইবার একটি মার্কেট প্লেস যে মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বায়ার এবং সেলার এর মধ্যে একটি চুক্তি সংগঠিত হয়। চুক্তির মাধ্যমে বায়ার সেলারকে একটি কাজের অর্ডার দিয়ে থাকে।
কাজটি সম্পূর্ণ করার পর সেলার ফাইবারের মাধ্যমে কাজটি বায়েরের কাছে জমা দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে ফাইবার কমিউনিটি মধ্যস্থল থেকে একটি কমিশন ভোগ করে। ফাইবার ২০১০ সালে ইজরাইলের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। পরবর্তীতে ২০১২ সালের তথ্য অনুযায়ী ৩০ লক্ষ সেবা নতিবদ্ধ হয়েছিল সেই সময়। ফাইবারের প্রতিষ্ঠাতারা হলেন যথাক্রমে মিকা কাফম্যান এবং শিই উইনারার। ফাইবারে ফ্রিল্যান্সাররা অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে সেখানে ছোট ছোট সার্ভিসের গিগ পাবলিশ করে।
সেই গিগগুলো একজন বায়ারের চোখে পড়লে এবং তার কাছে যদি আকৃষ্ট মনে হয়। সে ক্ষেত্রে ওই বায়ার সেলারের সাথে কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে সার্ভিস গ্রহণ করার জন্য অর্ডার দিয়ে থাকে। এজন্য একজন ফ্রিল্যান্সারকে ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ অনুযায়ী একটি প্রফেশনাল মানের একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হয়। পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করতে হলে, কি কি ধরনের কাজ মোবাইল দিয়ে ফাইবারের আওতায় করা যাবে সেটিও জানা প্রয়োজন।
ফাইবার এর কাজ কি
আমরা ইতিমধ্যে ফাইবার কি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তাহলে ফাইবার যদি একটি ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ারদের মার্কেটপ্লেস হয় তাহলে ফাইবারের কাজ কি এবং এই কাজগুলো কিভাবে সংঘটিত হয়ে থাকে সেটি জানা প্রয়োজন। ধরুন একজন ফ্রিল্যান্সার সর্বপ্রথম ফাইবারে একাউন্ট ক্রিয়েট করে সেখানে তার সার্ভিস অনুযায়ী একটি গিট পাবলিশ করল। আমরা এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কিত একটি গিট পাবলিশ করার কথা উল্লেখ করলাম।
অপরপক্ষে জার্মানি থেকে একটি বায়ার সেই গিগ দেখে তার প্রয়োজনীয় হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ফ্রিল্যান্সার বা ফাইবার একাউন্টের মালিক কে নক করলো। তাদের মধ্যে কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে একটি চুক্তি নির্ধারিত হলো অর্থাৎ কাজের বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের চুক্তির ভিত্তিতে উক্ত সেলারটি ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করে দিবে। আমরা এখানে ফেসবুক মার্কেটিং এর একটি উদাহরণ দিয়েছি মাত্র। এরকম ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যত কাজ রয়েছে সবগুলো কাজ ফাইবার একাউন্টে গিগ পাবলিশ করে কাজের অর্ডার গ্রহণ করা হয়।
কাজ কমপ্লিট হওয়ার পর ফাইবার কমিটির আওতায় কাজ জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর টাকাগুলো উইথড্র করা সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে ফাইবারে একাউন্ট ক্রিয়েট করার সময় যদি সেটি ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ অনুযায়ী এবং প্রফেশনাল মানের না হয় সে ক্ষেত্রে বায়াররা আকৃষ্ট হবে না। পরবর্তীতে দেখা যাবে ওই গিগে কোনরকম কাজের অর্ডার আসেনি। অপর পক্ষে অনেকে আছেন যারা মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করতে ইচ্ছুক। তবে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে সব ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়।
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম
প্রফেশনাল ভাবে ফাইবার একাউন্ট খোলাটা কতটা একটি জরুরী বিষয় সেটি আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে না গেলে বুঝবেন না। ফাইবার মার্কেটপ্লেসে লগইন করলে দেখবেন সেখানে যে সকল টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তাদের প্রোফাইল এবং দিকগুলো কতটা প্রফেশনাল মানের। সুতরাং একজন ফ্রিল্যান্সার যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে তাহলেও ১০০% কাজ পাবে এর কোন গ্যারান্টি নেই। যদি না সে ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রফেশনাল মানের একাউন্ট এবং গিট পাবলিশ করতে না পারে।
এজন্যই আজকে আমরা এই আর্টিকেলে ফাইবারে একাউন্ট খোলার বিষয়টি স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। পাশাপাশি অ্যাকাউন্ট খোলার পর অবশ্যই ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই হয়েছে কিনা সেটিও জানতে হবে। চলুন তাহলে ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ এর আওতায় কোন কোন পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে একটি ফাইবার একাউন্ট প্রফেশনাল মানের তৈরি হবে। তার আগে একটি প্রফেশনাল ফাইবার একাউন্ট খুলতে কোন বিষয়গুলো সর্বপ্রথম নিজের সংগ্রহে রাখতে হবে সেটি নিচে দেওয়া হল।
- Professional Email
- Professional Profile Photo
- LinkedIn Account
- Phone Number
- Perfect Portfolio
প্রথম ধাপ
সর্ব প্রথমে গুগল সার্চ বারে গিয়ে Fiverr.com লিখে সার্চ দিতে হবে। সর্ব প্রথমে একটি ওয়েবসাইট শো করবে সেখানে ক্লিক করলে নিচে প্রদত্ত ছবিটির মতো একটি ইন্টারফেস সামনে আসবে। ছবিতে লক্ষ্য করুন উপরের দিকে ডানদিকে কর্নারে একটি "Join" নামক বাটন আছে। উক্ত বাটন্তীতে ক্লিক করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
এই পর্যায়ে এসে "Join" নামক বাটনে ক্লিক করার পর আরও একটি ড্যাশবোর্ড সামনে চলে আসবে। ড্যাশ বোর্ডে লিখা থাকবে "Continue with email"। আপনারা নিচে আরও একটি ছবিতে লক্ষ্য করলে বিষয়টি বুঝতে পারবেন। আপনাদেরকে আবারো আর্টিকেলের প্রত্যেকটি বিষয় খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করার আহ্বান করছি। কেননা কোন একটি বিষয় স্কিপ করলে আপনি ফাইবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে পারবেন না।
তৃতীয় ধাপ
"Continue with email"এই বাটনটিতে ক্লিক করার পর, আপনার সামনে নিচে প্রদত্ত ইন্টারফেস শো করবে। মনে রাখতে হবে অবশ্যই এখানে আপনাকে প্রফেশনাল ভেরিফাইড ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে হবে। ইমেইল দেওয়ার পর আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড দেওয়ার কথা বলা হবে। পাসওয়ার্ডটি দেওয়ার সময় অবশ্যই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ইউজ করবেন সেটা জানো কমপক্ষে ৮ ক্যারেক্টার হয়। সবগুলো বিষয় দেওয়ার পর "continue" বাটনে ক্লিক করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী অবশ্যই একাউন্টের নাম ইউনিক এবং ছোট রাখতে হবে। "Continue" বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে নিচে দেওয়া ছবির মত আরো একটি ইন্টারফেজ নিয়ে আসবে। এখানেই আপনাকে আপনার পছন্দ এবং প্রফেশনাল মানের একটি ফাইবার একাউন্ট নাম দিতে হবে।
নাম দেওয়ার পর "create my account"এই অপশনটিতে ক্লিক করলে আপনার ফাইবার একাউন্ট তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
তবে এখনো কাজ শেষ হয়নি। কম্পিউটার এবং মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করতে হলে অবশ্যই প্রফেশনাল মানের অ্যাকাউন্ট যেমন তৈরি করতে হবে। ঠিক তেমনি একাউন্টগুলো অবশ্যই ভেরিফাই করে নিতে হবে। উইথ আউট ভেরিফাইড একাউন্ট ডিজেবল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই
ফ্রিল্যান্সারদের ফাইবার account খোলার পর প্রথম যে বিষয় করতে হয় সেটি হলো একাউন্টটি ভেরিফাই করা। অ্যাকাউন্ট যদি ভেরিফাই না করা হয় সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে যে কোন সময় একাউন্ট ডিজেবল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। পূর্বে ফাইবার একাউন্টগুলো খুব সহজেই ভেরিফাই এবং এপ্রুভ করা যেত। কিন্তু ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ এ এসে একাউন্ট ভেরিফাই এবং এপ্রুভ করাটা অনেকটাই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার যে বিষয়গুলো সেটি মনোযোগ সহকারে দেখবেন।
প্রথম ধাপ
উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি ফাইবার account ক্রিয়েট করা সম্পূর্ণ করে থাকেন তাহলে নিচে দেওয়া ছবির মত একটি ফাইবার অ্যাকাউন্ট ইন্টারফেস পেয়ে যাবেন। ইন্টার ফেস্ট এর উপরে ডানদিকে profile এ ক্লিক করুন।
দ্বিতীয় ধাপ
Profile এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে নিচে প্রদত্ত আরো একটি ইন্টারফেস সামনে আসবে। এখানে এসে আপনাকে পূর্বে সংগ্রহে রাখা প্রফেশনাল ফটো প্রোফাইলে দিতে হবে। আপনি ফটো অথবা আপনার সার্ভিসের লোগো যেটাই সংগ্রহে রেখেছেন সেটা দিয়ে দিবেন। ফটো দেওয়ার পর ডিসপ্লে নেম দিয়ে দিতে হবে এবং "update" বাটনে ক্লিক করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
Update অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে আরো একটি পেজ সামনে আসবে যেখানে আপনি দেখতে পাবেন আপনার ছবি অথবা লোগো সহ একটি প্রোফাইল ক্রিয়েট হয়ে গেছে। এখন আপনার কাজ হবে উক্ত ড্যাশবোর্ডের নিচের দিকে গিয়ে "Description" অপশনটি খুঁজে বের করা।
চতুর্থ ধাপ
"Description" ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এখানে আপনি যে সার্ভিসটি প্রদান করবেন সেটি বিষয়ে বিস্তারিত লেখা থাকবে। যদি ভালো মানের ডিসক্রিপশন লিখেন তাহলে বায়ার সেটি পড়ে আপনাকে হায়ার করবে। কারো থেকে কপি বা ভালো মানের ডিসক্রিপশন যদি না লেখেন সে ক্ষেত্রে কাজের অর্ডার পাওয়ার মাত্রা হবে শূন্য। ডিসক্রিপশন কোথায় লিখতে হবে সেই বিষয়ে একটি স্ক্রিনশট নিচে দেওয়া হল।
পঞ্চম ধাপ
এই পর্যায়ে এসে উপরে দেওয়া ছবির মধ্যে "add new" বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে এসে আপনার "skill" গুলো কি কি রয়েছে সেটি দিতে হবে। ধরুন আপনি SEO নিয়ে কাজ করবেন তাহলে Skill অপশনে আপনার স্কিল গুলো লিখে দিতে হবে। নিচে দেওয়া ছবিটি লক্ষ্য করলে সবকিছু বুঝতে পারবেন।
ষষ্ঠ ধাপ
আমরা প্রোফাইল ফটো আপলোড করার সময় ড্যাশবোর্ডে একটি অপশন দেখেছিলাম যেখানে লেখা "Become a seller"। এই অপশনটিতে আমাদেরকে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর "continue"বাটনে ক্লিক করলে সামনে আরো একটি ইন্টারফেস চলে আসবে।
সপ্তম ধাপ
এই পর্যায়ে "seller on boarding dashboard" আসার পর সেখানে "Completion rate" দেখাবে। এখানে রেটিং এর অনুসারে কমপক্ষে ৭০%-৮০% ক্রেডিট নিয়ে আসতে হবে। আপনার যে nid রয়েছে সেখানে যেভাবে ইনফরমেশন রয়েছে অর্থাৎ আপনার ফার্স্ট নেম এবং লাস্ট নেম সে অনুযায়ী দিয়ে দিতে হবে। যদি এক্ষেত্রে এনআইডির সাথে নামের মিল না থাকে পরবর্তীতে আর ভেরিফিকেশন হবে না। নিচে দেওয়া ছবিতে লক্ষ্য করলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে।
অষ্টম ধাপ
Professional info এই পেজে আসার পর এখানে "Certification" এবং কত সাল থেকে আপনি এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন এবং দক্ষতা অর্জন করেছেন সে অনুযায়ী বছর সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ আপনার কাজ শুরুর সাল এবং শেষের সাল প্রদান করতে হবে। এরপর দুই একটা কাজের ডেমো অ্যাড করতে হবে যেগুলো দেখলে বায়ার বুঝতে পারবে আপনি কোন সার্ভিস গুলোর প্রদান করছেন। নিচে আমরা স্ক্রিনশট দিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝিয়ে দিলাম।
সবকিছু কমপ্লিট হয়ে গেলে "continue" বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে চলে যাবেন। ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ এবং মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করার জন্য অবশ্যই মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করতে হবে। চলুন এবার তাহলে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন কিভাবে করতে হয় সেটি জেনে নেওয়া যাক।
ফাইবার একাউন্ট মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন
ফাইবারের প্রোফাইল যেহেতু তৈরি করা হয়ে গেছে এখন আপনি আপনার একাউন্টে ঢুকলে "Account security" নামক একটি অপশন পাবেন। যেহেতু আমরা প্রথমেই ইমেইল ভেরিফিকেশন করে ফেলেছি। তাই উক্ত অপশনে ক্লিক করে আমরা "Add Phone Number" অপশনে চলে যাব। নিচে আমরা একটি স্ক্রিনশট প্রদান করেছি যেখানে আপনি লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন কোথায় মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশনের জন্য ক্লিক করতে হবে।
এড ফোন নম্বর অপশনে ক্লিক করলে আমাদের সামনে একটি ইন্টারফেস সামনে আসবে। যেখানে আপনার সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে বলা হবে। আপনার সচল মোবাইল নাম্বার টি দেওয়ার পর এসএমএসের মাধ্যমে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। মেসেজ থেকে ভেরিফিকেশন কোডটি বসিয়ে দিতে হবে।
কোড বসানো হয়ে গেলে "Submit" অপশনে ক্লিক করতে হবে। ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর একটি সাকসেসফুল নোটিফিকেশন শো হবে। ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী "Verification completed" এই লেখাটির নিচে একটি অপশন থাকবে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে কিছু প্রশ্ন থাকবে যেমন আপনি পাসওয়ার্ড যদি ভুলে যান সে ক্ষেত্রে সিকিউরিটি পারপাস এর জন্য প্রশ্নগুলো করা হবে।
কেননা পরবর্তীতে যদি আপনার একাউন্ট এর কোন সমস্যা হয় তাহলে প্রশ্নগুলোর আনসার দিয়ে আপনি আপনার একাউন্ট ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। সবকিছু সঠিকভাবে যদি করা হয় তাহলে আপনাকে ক্রিয়েট গিগ অপশনে নিয়ে যাওয়া হবে। যদি অ্যাকাউন্ট তৈরি সময় কোন রকম ভুল থাকে তাহলে আপনি গিগ পাবলিশ করতে পারবেন না।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ
আর্টিকেলের শুরুতে একটি বিষয় উল্লেখ করেছিলাম সেটি হল মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা যাবে। কিন্তু বিষয় হল মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল মানের সব ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে ইজিলি করা সম্ভব এবং ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করাও যাবে। তবে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে করতে হবে। কেননা অ্যাকাউন্ট এবং গিগ যদি ভালো না হয় তাহলে কখনোই কাজের অর্ডার আসবে না। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যত ধরনের কাজ রয়েছে সবগুলোই ফাইবারে পাওয়া যাবে।
কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের পাশাপাশি বর্তমান সময়ের যে মোবাইল গুলো সেগুলো কোন অংশে কম নয়। তাই অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো খুব সহজেই ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী একাউন্ট ক্রিয়েট হয়ে গেলে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা যাবে। চলুন তাহলে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা যাবে এ ধরনের কাজগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
- সার্চ ইন্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
- লোগো ডিজাইন
- ভিডিও ইডিটিং
- ডাটা এন্ট্রি
- সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ভয়েস ওভার
- ফটো এডিটিং
- সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং
fiverr.com কি ধরণের মার্কেটপ্লেস
ফাইবার কি ধরনের মার্কেটপ্লেস এ প্রশ্নতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি সামনে আসে। সেটি হল ফাইবার একটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস। যেখানে লক্ষ লক্ষ বায়ার কাজের অর্ডার দিয়ে থাকে। এটি এমন এক ধরনের মার্কেট পেজ যেখানে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস একজন ফ্রিল্যান্সার খুব সহজেই সেল করতে পারে। সার্ভিসগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ছাড়াও অসংখ্য সেক্টর। ফ্রিল্যান্সারদের পরিষেবার জন্য ২০১০ সালে ইজরাইল এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছিল। এই প্লাটফর্মে ফ্রিল্যান্সারদের ব্যবসার সাথে সংযুক্ত করে ভাড়া করার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়।
শেষের কথা
বন্ধুগণ আমরা আজকে এই আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করি আপনারা আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ এবং মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করার বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত হতে পেরেছেন। একদম ফ্রিল্যান্সারকে দক্ষতা অর্জন করা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি ফাইভার সহ অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে প্রফেশনাল মানের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা খুবই জরুরী। সুতরাং আপনি যদি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করছেন কিন্তু ফাইবারে এখনও অ্যাকাউন্ট খোলেননি।
তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে খুব সহজেই একটি প্রফেশনাল মানের একাউন্ট তৈরি করতে সক্ষম হবেন। আজকের পোষ্ট সংক্রান্ত বিষয়বস্তু আপনার কেমন লাগলো আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর হ্যাঁ আজকের বিষয়বস্তুটি আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url