মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স তাদের জন্যই বেশি প্রয়োজন যাদের ঘরে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার নেই। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করার জন্য যে টাকা প্রয়োজন সেটাও অনেক সময় আমাদের কাছে থাকে না। বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকার লোকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অনেকেই অনেক সময় হতাশ সময় পার করে। কিন্তু আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তাহলে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে খুব একটি ভালো একটি অ্যামাউন্ট কালেক্ট করতে পারবেন।
চলুন তাহলে আজকে এই আর্টিকেলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি বাদে আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হল মোবাইল ফোন দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এবং মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ সম্পর্কে। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা খরচ হবে এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স করার সকল বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র
মোবাইল দিয়ে কি কি করা যায়
বর্তমান সময়ে যেগুলো অ্যাডভান্স লেভেলের মোবাইল বাজারে লঞ্চ হচ্ছে সেগুলো দিয়ে অনেক জটিল জটিল কাজ করা যায়। গুগল ডকসের কাজ থেকে শুরু করে এক্সেল সিট এমনকি মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এর কাজ পর্যন্ত বর্তমানে মোবাইল দিয়ে করা যায়। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং সেখানে আপনি ভিডিও এডিটিং মোবাইল দিয়ে করেই, ভিডিও গুলো আপলোড করে প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা থাকতে হবে। তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং বা অন্য সকল কাজ করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনাকে সঠিক স্মার্টফোনটি বেছে নিতে হবে। স্মার্টফোনের স্ক্রিন বড় হওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই স্টোরেজ বেশি থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন স্মার্টফোনের প্রসেসরটি লেটেস্ট ভার্সনে হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সকল কাজ কিন্তু মোবাইল দিয়ে করা যাবে না।
ডাটা এন্ট্রি কিছু কাজ, ফেসবুক পেজ ম্যানেজমেন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট, ব্লগিং ইত্যাদি কাজ করা যাবে। প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে হলে অবশ্যই কম্পিউটারের অথবা ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়বে। তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্সগুলো জানার মাধ্যমে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং জার্নি শুরু করতে পারবেন।
মোবাইল ফোন দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়
উপযুক্ত মোবাইল ফোন সিলেক্ট করার পরে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে মোবাইল ফোন দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো করার জন্য অবশ্যই একটি ভালো মানের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু যাদের কাছে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার নেই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহ রয়েছে তারা চাইলে মোবাইল দিয়ে কিছু কিছু কাজ করতে পারবেন। তবে আপনাকে এ বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখতে হবে।
যে কোন কোন কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। আরো একটি কথা জেনে রাখা ভালো মোবাইল দিয়ে শুধুমাত্র বেসিক লেভেলের কাজগুলোই করা সম্ভব। প্রফেশনাল মানের কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনার একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের দরকার হবে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কোন কাজগুলো করা সম্ভব।
প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপস
আমরা ল্যাপটপে অথবা কম্পিউটারে যেমন Microsoft Office, Google work space, Trello, Asana এর মত কাজ করে থাকি। এই কাজগুলো আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। তবে কম্পিউটারের থেকে মোবাইলে এ ধরনের সফটওয়্যার এর কাজগুলো একটু আলাদা হয়ে থাকে। আপনি সফটওয়্যার গুলো মোবাইলে ইন্সটল করে প্রবেশ করলে বুঝতে পারবেন যে অনেকটা কম্পিউটারের সাথে ফাংশানের মিল রয়েছে।
যে সকল ফাংশন মিল নেই সেগুলো আপনি ইউটিউবে সার্চ দিয়ে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারবেন। সুতরাং মোবাইল দিয়ে এ ধরনের কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছুটা সময় এবং মনোযোগী হতে হবে।
কনটেন্ট রাইটিং
পূর্বে যেমন কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রচুর ডিমান্ড ছিল এবং বর্তমানেও কন্টেন রাইটিং এর ডিমান্ড অনেকটাই বেশি। আর মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স গুলো করার মাধ্যমে কন্টেইন রাইটিং খুব সহজেই শেখা যায়। বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কন্টেন্ট রাইটিং সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বিষয়। শুধুমাত্র এই একটি মাত্র কাজ করেও আপনি মাসে ২০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজগুলো মোবাইল দিয়ে খুব ইজিলি ভাবে করা যায়।
আপনি যদি গুগল ডক্সে বা টেক্সট এডিটর অ্যাপ এ কন্টেন্ট রাইটিং করেন সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে যেকোনো ধরনের কনটেন্ট আপনি খুব সহজেই লিখে ফেলতে পারবেন। আপনার মোবাইলে Google docs, Wps office, Microsoft office word, Note pad এই সফটওয়্যার গুলো থাকলে আপডেট যে কোন জায়গায় বসেই কন্টেন রাইটিং এর কাজ সেরে ফেলতে পারেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ
আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাব যারা ভিআইপি টাইপের লোক তাদের সাথে সবসময় একজন সহকারী বা অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকে। দৈনন্দিন জীবনে তারা নিজের কাজগুলো সহজ করার জন্য এরকম একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সরকারি রাখে। আমরা যেমন ধীরে ধীরে ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করছি ঠিক তেমনি কাজগুলো ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অনলাইনে ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেখে অনেকে তাদের দৈনন্দিন কাজগুলো সহজ করে নিয়ে এসেছে।
অনলাইনে এ ধরনের সহকারীর কাজগুলোকে বলা হয় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ। মোবাইল ফোন দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এ বিষয়টিতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করে মাসে আপনি ভালো একটি এমাউন্ট খুব সহজেই আরনিং করতে পারবেন। আর এ ধরনের সহজ কাজগুলো আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের অর্ডার গ্রহণ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
বর্তমান যুগে এসে এমন লোক খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে যাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট নেই। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এন্টারটেইনমেন্ট এর পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রসর হচ্ছে। আপনি যদি ইউটিউব অথবা ফেসবুকে শর্ট ভিডিও গুলো দেখেন তাহলে হঠাৎ করেই বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ আপনার সামনে চলে। রিভিউ দেখার পর আপনি যখন মেসেঞ্জার অথবা হোয়াটসঅ্যাপে নক করে।
তখন অপরপ্রান্ত থেকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে তথ্য জানানো হয়। আর এই কাজগুলো করে থাকে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজগুলো মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স করার মাধ্যমে ইজিলি শেখা সম্ভব।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজগুলো করার জন্য হাই লেভেলের পিসির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কিছু ছোট ছোট কাজ রয়েছে যেগুলো ভালো মানের স্মার্টফোন দিয়ে করা সম্ভব। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জনপ্রিয়তা কোন অংশে কম নয়। কেননা এ কাজের ডিমান্ড পূর্বে যেমন ছিল বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই আপনি মোবাইল দিয়ে যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজগুলো রপ্ত করতে পারেন। তাহলে মার্কেট প্লেস থেকে কাজের কোন অভাব হবে না।
যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনকে আলাদা কয়েকটি ভাগে বা সেক্টরে ভাগ করা হয় তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কাজগুলো আসলে মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। সাধারণত Logo Design, Png Design, Vector Design, Banner Designs এই কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায়। সুতরাং মোবাইল দিয়ে যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন কার সম্পর্কে সকল আইডিয়া রপ্ত করতে চান তাহলে Pixlab, PicsArt, Canva pro, Camtasia, Adobe Photoshop touch এ সকল সফটওয়্যারের সকল কাজ সম্পর্কে জানতে হবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স
প্রতিনিয়ত অনলাইনে ফ্রিল্যান্সারে সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই কোর্স করতে না পেরে ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করতে পারছেন না। পাশাপাশি মোবাইল ফোন দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এ বিষয়েও সকলের ধারণা থাকে না। কিন্তু আপনার হাতে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্সগুলো শেখা সম্ভব। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনি যেহেতু মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স শিখতে চলেছেন।
এজন্য আপনাকে নিজে থেকে ধৈর্যধারণ, পরিশ্রম সবকিছুই করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটিকে আরো উন্নত করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এর আওতায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বেকার যুব সমাজকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু ছিল।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স গুলো করা যায়। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কোন কোন বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সগুলো ফ্রিতে করা যাবে।
ইউটিউব থেকে ফ্রি কোর্স
অনেক ইউটিউব টেক চ্যানেল গুলো রয়েছে যারা ফ্রিতে বিভিন্ন কোর্সের বিষয়বস্তু তাদের চ্যানেলে আপলোড করে। এখন আপনার কাজ হবে সেই সকল ফ্রিতে চ্যানেলগুলো সাবস্ক্রাইব করে আপনার সংগ্রহে রাখা। যে বিষয় নিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে উপর যে টেক চ্যানেল তাদের ভিডিও আপলোড করেছে তাদের ভিডিও গুলো ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে সকল ক্লাস মনোযোগ সহকারে দেখার চেষ্টা করুন।
কিছুদিন দেখার পর বুঝতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং বেশির ধারণা আপনার অলরেডি হয়ে গেছে। এরপর প্রাকটিকাল লাইফে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ প্র্যাকটিস করতে হবে এবং একসময় দেখবেন আপনি মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করে সেখান থেকে কাজের অর্ডার পেয়ে গেছেন। তবে বিষয়গুলো এতটাও সহজ হিসেবে নেওয়া যাবে না। আপনাকে প্রফেশনাল মানের ফ্রিল্যান্সার হতে হলে অবশ্যই সময়, অর্থ, পরিশ্রম সবকিছুই বিনিয়োগ করতে হবে।
অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার বা মেন্টরের হেল্প
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স শেখার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার যদি আপনার পরিচিত কোন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার বা মেন্টর থাকে সেক্ষেত্রে আপনি তার হেল্প নিতে পারেন। আপনার আশেপাশে বা এলাকায় যদি এরকম কোন ব্যক্তি থাকে যে অনেকদিন ধরে ফ্রিল্যান্সিং করছে তাকে আপনার চাহিদা বা প্রয়োজনের কথা জানাতে পারেন। সে যদি আপনাকে বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা বা শিখাতে রাজি হয়।
সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিতে বিভিন্ন এডভাইস নিয়ে আপনার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজে লাগাতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার তাদের কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় পার করে। এক্ষেত্রে তার ফ্রি সময়ে আপনি গিয়ে তার কাছ থেকে পরামর্শ গুলো নোট করে আনবেন যদি সে এ বিষয়ে রাজি হয়।
ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি কোর্স
বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইট গুলো আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ইনক্লুড করে আর্টিকেল পাবলিশ করে। সে সকল ব্লগ ওয়েবসাইট থেকেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক ধারণা নিতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। মোবাইল ফোন দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এই বিষয়গুলো আমরা আমাদের আর্টিকেলে ইনক্লুড করেছি। যা একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের ক্ষেত্রে অনেক কাজে দেয়।
সুতরাং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করার ইচ্ছা পোষণ করেন সে ক্ষেত্রে আমাদের ব্লগ ওয়েবসাইট কি হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ স্বরূপ। আমরা যেমন বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয় সম্পর্কে ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করি। এরকম অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন সম্পর্কিত আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। আপনি সেই সকল ওয়েবসাইটগুলো খুঁজে বের করুন এবং সেখান থেকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো জেনে নিন।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে ফ্রিল্যান্সিং
বর্তমান সময়ে ফেসবুক গ্রুপে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক তথ্য দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাক্ট রিভিউ এবং ক্রয় বিক্রয় সম্পর্কে যে সকল কাজ রয়েছে সে সম্বন্ধে খুব সহজেই ধারণা নিতে পারেন। তবে অনেক স্প্যামিং অনেক গ্রুপ রয়েছে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সাথে অনেক ধরনের প্রতারণা করে থাকে।এক্ষেত্রে আপনি গ্রুপের মেম্বারদের রিভিউ এবং মেম্বার সংখ্যা দেখে নিবেন।
সে সকল ভালো মানের ফেসবুক গ্রুপে এড হয়ে নেবেন। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত যখন যে বিষয়ে অভিজ্ঞ প্লেয়াররা সেই সকল গ্রুপে পোস্ট করবে বিষয়গুলো আপনি আপনার খাতায় নোট করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার বেসিক লেভেলের ফ্রিল্যান্সিং শেখার পাশাপাশি পরবর্তীতে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজের অর্ডার নেওয়ার বিষয়টি খুব সহজ হয়ে যাবে।
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা খরচ হবে
সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকার প্রয়োজন হয় এটি সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা লাগবে সেটি ডিপেন্ড করে আপনি কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে যাচ্ছেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ যেহেতু আলাদা সেক্ষেত্রে কোর্স করার সময় এদের ডিমান্ড ও আলাদা হবে। যেহেতু ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজগুলো একটু জটিল প্রকৃতির হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে এ ধরনের কোর্স ফি সব সময় বেশি। তুলনামূলক ডিজিটাল মার্কেটিং একটু সহজ হওয়ার কারণে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর থেকে এ ধরনের কোর্স করার ফি একটু কম হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স বিভিন্ন আইটি সেন্টার ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে করিয়ে থাকে। তবে আইটি সেন্টারগুলোর মানের উপরে ভিত্তি করে কোর্সের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। কিন্তু আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স গুলো জেনে।
বেসিক লেভেলের কাজগুলো শিখে তারপর কোর্সে ভর্তি হওয়া উচিত। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যানিমেশন এ ধরনের কোর্সের ক্ষেত্রে ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোর্স ফি নির্ধারণ করা হয়। আমরা এখানে কয়েকটি আইটি সেন্টারের সাথে কথা বলে কোর্সের ফি এর কথা উল্লেখ করলাম। আপনি যদি কোন আইটি সেন্টার থেকে কোর্স করতে চান সে ক্ষেত্রে আইটি সেন্টারের মান যাচাই-বাছাই করে এবং কোর্স ফি জেনে তারপরে ভর্তি হবেন।
মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করুন
আমরা ইতিমধ্যে মোবাইল দিয়ে কোন কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যাবে এবং মোবাইল ফোন দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় সেটি আর্টিকেলের প্রথম অংশে জানিয়ে দিয়েছি। আপনাদের জ্ঞাতার্থে আবারও বলছি মোবাইল দিয়ে শুধুমাত্র বেসিক লেভেল এর কাজ গুলোই করা সম্ভব। কবে আপনি মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং কার সম্পর্কে আইডিয়া এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। কিন্তু কাজ করার ক্ষেত্রে সকল ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ মোবাইল দিয়ে করা যাবে না।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজ কিভাবে নির্বাচন করব। অর্থাৎ যদি এমন হতো আপনারা কিছু কাজের লিস্ট পেয়ে গেলেন এবং সেখান থেকে আপনার পছন্দমত কাজ নির্বাচন করতে পারবেন। পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে আমরা কিছু কাজের কথা উল্লেখ করলাম যে কাজগুলো মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই করা যায়। বিষয়গুলো জানার জন্য নিচের অংশটি লক্ষ্য করুন।
- মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং
- ইউটিউবে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং এবং মার্কেটিং
- ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও পাবলিশ
- অনলাইন ডাটা এন্ট্রি
- মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং
- প্রোডাক্ট রিভিউ এবং ক্রয় বিক্রয়
- ব্লগিং এবং ব্লগ পোস্ট
- মোবাইল দিয়ে ফটো এডিটিং
- ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং
- মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
- মোবাইল দিয়ে ইমেইল মার্কেটিং
শেষের কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স করার বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারলাম। আশা করি আপনারা মোবাইল ফোন দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে ধারণা পেয়েছেন। যদি আপনাদের মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত কোন বিষয় জানার থাকে তাহলে আমাদের মন্তব্যবচ্ছে প্রশ্ন করতে পারেন।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন সম্পর্কিত অনেক আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। আপনারা চাইলে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার বন্ধুবান্ধবদের মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানানোর উদ্দেশ্যে অবশ্যই আজকের এই পোস্ট শেয়ার করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url