নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়
আজকের সময়ে অন্যান্য মার্কেটিং এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং দিন দিন তাদের প্রসার বৃদ্ধি করে চলেছে। তবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে যদি জানা যায় তাহলে আপনিও পারবেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে প্রতি মাসে ভালো একটি অ্যামাউন্ট কালেক্ট করতে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এবং এর আদ্যোপান্ত সম্পর্কেই আজকে আমাদের এই আর্টিকেল। আমরা এখানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ আসলেই কেমন সে বিষয়ক আলোচনা করব।
পাশাপাশি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে। ভারত এবং বাংলাদেশ দুইটি দেশেই বর্তমান সময়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং জনপ্রিয় একটি পেশায় উপনীত হয়েছে। কিন্তু আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে সফল হতে চান তাহলে অবশ্যই ধৈর্য এবং পরিশ্রমে সহিত কাজ করে যেতে হবে। সুতরাং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় গুলো জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি অংশ মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন।
পোস্ট সূচিপত্র
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হল সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীদের একটি পণ্য অথবা সার্ভিস বিক্রয়ের জন্য একটি সমন্বয়ক পদ্ধতি। যেখানে প্রতিষ্ঠান গুলোর তাদের নিজস্ব উৎপাদন পন্যর বিজ্ঞাপন না করেই। অন্য আরো বিভিন্ন ব্যক্তিকে একসাথে দলবদ্ধ করে তাদের পণ্য বিক্রয়ের জন্য সেট করার পদ্ধতি হলো নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। যারা এ ধরনের ব্যবসা করেন অর্থাৎ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায়ীরা একটি নেটওয়ার্কের কোম্পানির মাধ্যমে পণ্য প্রদান করা থেকে শুরু করে।
সেই পণ্য বিক্রয় করার জন্য কিছু কমিশন আর্থিক পুরস্কার হিসেবে ওইসব দলগত ব্যক্তিদেরকে প্রদান করে থাকেন। বিশেষ ক্ষেত্রে এটা অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ তারা একটি সংগঠন যদি তৈরি করে। তারপর তাদের সেই সংগঠনে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য অথবা সার্ভিস প্রদান করে বিক্রয় করার জন্য সেই সকল কর্মীদেরকে কমিশনের আওতায় নিয়ে আসা। পার্টনার হিসেবে সংযুক্ত করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার ব্যবস্থা করে থাকে।
অনেকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং নিয়ে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করলেও আসলে বিচক্ষণ মানুষগণ বুঝতে পারবেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আসলে কতটা সফল হওয়ার একটি পদ্ধতি। ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রায় ৩০% মানুষ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে নিজেকে সফল হিসেবে উন্নীত করতে চান সেক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখতে হবে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে মার্কেট ব্যতীত বিক্রয় করা হয়ে থাকে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং প্রক্রিয়াতে মার্কেটিং এর কাজ করা প্রত্যেক ব্যক্তি একে অপরের সাথে সংযুক্ত হতে পারে। একটি ব্যক্তি একটি মডেলে কাজ শুরু করে আস্তে আস্তে সেখানে লোক যুক্ত করে আর এটি একমাত্র নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য। উদাহরণ স্বরূপ আপনি যদি কোন একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত হন।
তাহলে পরবর্তীতে আপনি সেখানে আপনার বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয়দের যুক্ত করার সুযোগ পাবেন। এ ধরনের প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আপনি নির্দিষ্ট একটি কমিশনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং অনেকটা এমএলএম পদ্ধতিকে অনুসরণ করে। তবে এক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা রয়েছে সেটি হল এমএলএম পদ্ধতিতে আপনাকে টাকা বিনিয়োগ করে সেখান থেকে কমিশন হিসেবে লভ্যাংশ প্রাপ্তি হয়।
কিন্তু নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট থাকে এবং সেই প্রোডাক্ট আপনি মার্কেটিং করে বিক্রি এবং সেখানে আরো অন্যান্য লোক যুক্ত করবেন যারাও উক্ত প্রোডাক্টটি বিক্রির সাথে যুক্ত হবে। এভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের আওতায় লোক যুক্ত হতে থাকবে এবং তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হওয়ার পাশাপাশি প্রোডাক্টও বিক্রি হতে থাকবে। বড় বড় ব্যবসায়ীরা মন্তব্য করে থাকেন একটি প্রোডাক্ট খুব সহজে বাজারে ব্র্যান্ড হিসেবে অথবা বিক্রির জন্য নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর বিকল্প অন্য কিছু আর নেই।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ সাধারণত ট্রেডিশনাল পদ্ধতি থেকে অনেকটাই ভিন্ন হয়ে থাকে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় হল নির্দিষ্ট প্রোডাক্টগুলো বাজারে বিক্রি করার পাশাপাশি সেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যক্তি যোগ করা। পাশাপাশি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এবং এ টু জেড সম্পর্কে জানার পর কেবলমাত্র নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ প্রবেশ করা প্রয়োজন। তাহলে একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া গেল যে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি।
এই প্রশ্নে আপনাকে একটি প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটে কাজ করতে হবে এবং সেটি বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি আপনি অন্য আরও সকল ব্যক্তিকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর আওতায় যুক্ত করে সেখান থেকেও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে যাবেন।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়
আমরা আর্টিকেলের শুরুতেই একটি বিষয় উল্লেখ করেছি সেটি হল আপনি যে ধরনের মার্কেটিং নিয়ে কাজ করুন না কেন সেই বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। ঠিক তেমনি আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিষয়ে যদি আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে সর্বপ্রথম এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এ বিষয়ে খুব ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। এ বিষয়টি জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের প্রথম অংশে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর বিষয়টি আমরা খুব ভালোভাবে উল্লেখ করেছি।
যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে সফল হতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং পাশাপাশি সেই সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে আমরা নিচে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় গুলো পর্যায়ক্রমে দিয়ে দিলাম।
টার্গেট সিলেক্ট করা
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মূল একটি বিষয় হলো সঠিক গন্তব্য বা টার্গেট অনুযায়ী কাজ করা। আপনি আপনার ক্যারিয়ার টাকে গোছানোর জন্য অবশ্যই ভালোভাবে বুঝে সেই অনুযায়ী নেটওয়ার্কিং তৈরি করতে পারেন এবং এটি আসলে খুব কার্যকরী একটি বিষয়। যদি আপনি এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ার ভালোমতো শুরু না করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তিনটি বিষয়ে আপনার মাথায় রাখা উচিত। সেগুলো হল আপনার স্বপ্নের ক্যারিয়ার কি। আপনার ভবিষ্যতকে কিভাবে কল্পনা করছেন এবং আপনার সবচেয়ে সুখী অনুপ্রাণিত পূর্ণ সত্তাকে আপনি কোথায় খুজে পেতে পারেন সে বিষয়গুলো।
এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আপনি রিসার্চ করুন এবং পাঁচ বছর পরের লক্ষ্য বা টার্গেট কি হবে সেটি সেট করে ফেলুন। সেই লক্ষ্য অনুযায়ী আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে চান তাহলে আগামী পাঁচ বছর পর আপনার নেটওয়ার্কের আওতায় কতজন ব্যক্তি আসতে পারে সে বিষয়টি হিসেব করে ফেলুন। দেখবেন আপনার একটি সঠিক টার্গেট সিলেক্ট করা হয়ে গেছে এবং সেই অনুযায়ী আপনাকে সামনে এগোতে হবে।
সঠিক রোড ম্যাপ
একজন নেটওয়ার্ক মার্কেটারের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এ বিষয়টি যেমন যারা জরুরী ঠিক তেমনি সে আসল পথে এগোচ্ছে কিনা সেটিও বারবার যাচাই করা প্রয়োজন। এজন্য যারা বড় বড় নেটওয়ার্ক মার্কেটার তারা বলে থাকেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক রোড ম্যাপ। আপনি যদি সঠিক রাস্তা ধরে এগোতে না পারেন তাহলে যতই টার্গেট ঠিক হোক না কেন আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবেন।
আমরা একটু আগে পাঁচ বছরের যে টার্গেটের কথা উল্লেখ করলাম।সেখানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় হিসেবে আপনাকে অবশ্যই সঠিক পথে এগোতে হবে। রোড ম্যাপ তৈরি করার পাশাপাশি একটি নকশা তৈরি করুন যাকে অবলম্বন করে আপনি আপনার নেটওয়ার্কের অনেক ব্যক্তি যুক্ত করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনার পরিচিত ব্যক্তিদের নাম লিখতে থাকুন এবং দেখুন এমন একজন ব্যক্তি রয়েছে যে আপনাকে এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারে।
পাশাপাশি উক্ত ব্যক্তি আরো অনেকগুলো ব্যক্তির সাথে আপনাকে খুব সহজেই পরিচয় করিয়ে দিতে পারবে। কেননা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কিভাবে পরিচালিত হবে এটি অনেকটা নির্ভর করে আপনি কতজন ব্যক্তি সাথে সংযুক্ত আছেন।
মাইন্ড সেট আপ
প্রত্যেকটি মানুষের সফলতার পিছনের গল্প অনেক কঠিন হয়ে থাকে। আপনি যদি মনে করেন আজকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শুরু করে কালকেই সফলতার শিখরে পৌঁছে যাবেন আসলে বিষয়টি তেমন নয়। আপনাকে পুরোপুরিভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ মনোনিবেশ করতে হবে। মাইন্ড সেটআপ যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে সেই কাজ করে যেমন মজা পাওয়া যায় না। পাশাপাশি সেই কাজ থেকে সফলতা পাওয়ার পরিমাণ খুবই কম। আপনি প্রথমে একটি মানুষকে যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ যুক্ত করেন।
পরবর্তীতে সেই মানুষ হয়তো বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ে কাজ নাও করতে পারে। এখন আপনি যদি প্রথমেই ধৈর্য এবং মাইন্ড সেটআপ না করতে পারেন তাহলে আপনিও আর সামনে এগোতে পারবেন না। তিনজনের মধ্যে যদি দুজন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর আওতায় যুক্ত হয়। একজন যদি নাও হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে মাইন্ড সেটআপের মাধ্যমে সেটি ম্যানেজ করতে হবে। মূলত আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করা হলো শ্রেষ্ঠ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং।
শুধুমাত্র ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কার্ড অদল বদল এ বিষয়টি এর সাথে সম্পৃক্ত নয়। একজন মানুষের সাথে আরেকজনের খুব ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিষয়টিও নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মাধ্যমে হয়ে ওঠে।
অনলাইন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় হিসেবে শুধুমাত্র অফলাইনে চেষ্টা করলে হবে না। অফলাইনে মার্কেটিং করার পাশাপাশি আপনাকে অনলাইন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্পর্কেও জ্ঞান রাখতে হবে। বর্তমান যুগ যেমন ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করেছে ঠিক তেমনি নিজেকেও ডিজিটাল যুগের সাথে আপডেট করে চলতে হবে। এজন্য আপনি স্মার্ট ফোনের সহায়তায় ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে সে সকল মানুষকে বেছে নিতে পারেন যারা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার আগ্রহ রাখে।
পাশাপাশি এমনভাবে মার্কেটিং কার্য শুরু করতে হবে যেন মানুষগুলোর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা খুব সহজেই কনভেন্স হতে পারে। তাদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট এ বা টেক্সট মেসেজ এ যুক্ত হওয়ার প্রবণতা তৈরি করতে হবে। আসুন বিষয়গুলো একটু পয়েন্ট আকারে জেনে নেওয়া যাক।
- অনলাইন প্লাটফর্মের অপরপক্ষের মানুষকে সবসময়ই ভাবনার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সবসময়ই গভীর এবং অন্তর্দৃষ্টি পূর্ণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত।
- অনলাইন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার আরো একটি উপায় হল বিভিন্ন বিষয়ে অর্থাৎ ভালো ভালো প্রশ্ন তৈরি করে ভিডিও বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
- সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এসে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে সেখানে নিয়মিত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্পর্কে সকলকে জানানো এবং সেখান থেকেও নির্দিষ্ট পরিমাণ কর্মী যুক্ত করা।
- অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে খুব সহজেই বুঝা যায় কোন কোন ব্যক্তি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্বন্ধে আগ্রহ রাখেন। যদি সঠিক ব্যক্তি গুলো খুঁজে পান তাহলে বুঝতে পারবেন সে সকল ব্যক্তি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শেখার আগ্রহ রাখে এবং তাদেরকে কাজে লাগান।
- যারা আপনার কাছ থেকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শিখতে চাচ্ছেন বা এ সম্পর্কে আগ্রহ রাখেন। তাদের প্রশ্নগুলো মনোযোগ সহকারে শুনুন এবং সে অনুযায়ী সলুশন দেওয়ার চেষ্টা করুন।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করব
আমরা এই পর্যন্ত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছি। অনেকে প্রশ্ন করেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করব এই বিষয়টি। আপনি যদি আর্টিকেলের প্রথম অংশগুলো পড়ে থাকেন তাহলে আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছিলাম নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করা উচিত। মূলত ট্রাডিশনাল পদ্ধতি গুলো থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মার্কেটিং পদ্ধতি গুলো চেঞ্জ করেছে।
পুরাতন পদ্ধতিতে প্রোডাক্ট বিক্রি অথবা বিজ্ঞাপন করার জন্য অনেক কাট খরি পোড়াতে হতো। কিন্তু বর্তমানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে খুব সহজেই সঠিক ব্যক্তিদের কাছে খুব সহজে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। যারা অ্যাফিলেট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে তারা বুঝতে পারবে এ ধরনের মার্কেটিং করার কতটা সুবিধা রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা একবার একটি পণ্যের রিভিউ তৈরি করার পর সেখান থেকে যতগুলো কাস্টমার ইনক্রিজ করতে পারে এবং সেখান থেকে কমিশন পেতেই থাকে।
ঠিক তেমনি আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এরাও তাই যে সকল ব্যক্তি যুক্ত করবেন তাদের থেকে আপনিও নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেতে থাকবেন। তবে বলাবাহুল্য যে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে ক্যারিয়ারের প্রথম অবস্থায় একটু পরিশ্রম করতে হয়। কেননা প্রথম অবস্থায় প্রোডাক্ট সেল করা থেকে শুরু করে জনগণের মাধ্যমে সেটি প্রচার করা একটু কঠিন কাজ হয়ে থাকে।
এজন্য একজন মার্কেটারের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। নিচে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করব এ বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে আপনি পার্টটাইম অথবা ফুল টাইম হিসেবে কাজ করতে পারছেন এবং কমিশনের আওতায় যেতে পারছেন।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় গুলো খুব সহজ এবং এটিকে কাজে লাগিয়ে খুব তাড়াতাড়ি সফলতা শিখরে পৌঁছানো যায়।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর আরো একটি বড় বিষয় হলো প্রথমে আপনি একজন ছোট প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হলেও। পরবর্তীতে বড় মাপের একজন নেটওয়ার্ক মার্কেটার হওয়ার সুযোগ থাকে।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ বড় কোন বিনিয়োগ করতে প্রয়োজন হয় না। অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করা যায়।
- ব্যবসায়িক মডেল দ্বারা কোন স্থানের পণ্য দ্রুততার সঙ্গে অন্য স্থানে পৌঁছানো যায়। এখানে কোন প্রকার বিজ্ঞাপন বা মধ্যস্থ আকারী ছাড়াই পণ্য সরাসরি প্রতিনিধির নিকটে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
- যারা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ কাজ করেন তাদের মার্কেটিং সম্বন্ধে প্রচুর জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা যুক্ত হয়। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং না করে অন্য কোন বিষয়ে ও পরবর্তী সময়ে কাজে লাগানো সম্ভব।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
বর্তমানে ২০২৪ সালে এসে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কতটা বিস্তার লাভ করেছে তা আমরা খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারছি। আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে আপাতত এই সেক্টরের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আরো ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এর কারণ হলো আপনি বেশি কোন পরিশ্রম ব্যতীত খুব সহজেই বসে বসে টাকা ইনকাম করতে পারছেন।
ধরুন আপনি একজন ব্যক্তিকে যদি উক্ত কোম্পানির আওতায় যুক্ত করতে পারেন। তাহলে সেখান থেকে যেমন কমিশন পাবেন আবার প্রোডাক্টগুলো সেল করে আলাদা ভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। চলুন তাহলে এবার নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেন ভালো সে বিষয়ে জানা যাক।
- বর্তমানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিশ্বজুড়ে প্রচার লাভ করেছে এবং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো বৈশ্বিক মানের সম্প্রচার প্রাপ্ত করতে সফল হচ্ছে। পাশাপাশি এ ধরনের মার্কেটিং বর্তমানে যেমন জনপ্রিয় ভবিষ্যতেও এটি খুব ভালো অবস্থানে টিকে থাকবে।
- সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং একটি দ্রুত গতি প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবসায়িক ক্রিয়াশীলতাকে বৃদ্ধি করে চলেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর উপর তাদের ব্যবসা কার্যক্রম নির্ভরশীল।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচার প্রচার না ফি একেবারে শূন্য ধরা যায়। আর এ ধরনের পদ্ধতিতে যদি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হয় তাহলে আশা করা যায় ভবিষ্যতে কখনোই এ ধরনের মার্কেটিং বিলুপ্ত হবে না।
- প্রতিনিয়ত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর আওতায় লোকজন যুক্ত হচ্ছে এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এই সম্পর্কে জেনে বুঝে তারা তাদের মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় গুলো যদি কেউ সঠিকভাবে জানতে পারে। তাহলে নতুন উদ্যোগের সুযোগ হওয়ার পাশাপাশি এখান থেকে মাসিক অথবা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
শেষের কথা
বন্ধুগণ আমরা আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমরা আশাবেত্ত করছি যে আপনারা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। তবে একটি কথা মনে রাখবেন সকল নেটওয়ার্ক মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান কিন্তু এক নয়। আপনাকে জেনে বুঝে সেই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস অনুযায়ী ভালো মনের প্রতিষ্ঠানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শুরু করা প্রয়োজন।
এমন হতে পারে আপনি কোন প্রতারক চক্রের পাল্লায় পড়ে আপনার কষ্টের টাকাগুলো জলাঞ্জলি দিয়ে দিলেন। আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্বন্ধে আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। পাশাপাশি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট অর্থাৎ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি এ বিষয়টি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url