অন পেজ এসইও কি?- On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন

On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন সম্পর্কে এ A টু Z ধারণা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়া এবং গুগলে সার্চ করে থাকি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টোটাল একটি গাইডলাইন সেভাবে প্রোভাইড করা হয় না। যেহেতু ডিজিটাল অনলাইন আইটি সবসময়ই চেষ্টা করে পাঠকদের চাহিদা অনুসারে তথ্যসমৃদ্ধ সকল বিষয়গুলো ইনক্লুড করার। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এই আর্টিকেলে আমরা On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। 
On-Page-SEO-করার-বাংলা-গাইডলাইন
আমরা অন পেজ এসইও এর অভ্যন্তরে যতগুলো বিষয় আছে শুধুমাত্র সেগুলো নিয়ে আজকে খুঁটিনাটি সকল বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। পাশাপাশি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা অন পেজ এসইও কি এবং অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরা এখানে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা থেকে শুরু করে অন পেজ এসইও করার সকল বিষয় অর্থাৎ সম্পূর্ণ একটি গাইডলাইন প্রোভাইড করব। সুতরাং On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন সম্পর্কে পারফেক্ট ধারণা নেওয়ার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্র

অন পেজ এসইও কি এবং বেসিক ধারণা

অন পেজ জ এসিও সাধারণত “Search Engine Ranking” পাওয়ার পরিপেক্ষিতে কোন একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে টাইটেল, ট্যাগ, মেটা ডিসক্রিপশন, কন্টেন্ট, ইমেজ এবং লিংক প্রোভাইড করার প্রক্রিয়াকে বলা হয়। কোন একটি আর্টিকেল বা কিওয়ার্ক অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিনের ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য অন পেজ এসইও করার গুরুত্ব অনেক। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন, তাহলে এসইও বিষয়টির সাথে অবশ্যই জড়িত থাকবেন। পাশাপাশি এসইও সেক্টরের অন পেজ এসইও করার গুরুত্ব সম্পর্কে অবশ্যই আপনি অবগত। 
অন পেজ এসইও সাধারণত অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করার জন্য ওয়েবপেজের অভ্যন্তরে অপটিমাইজেশন করা হয়ে থাকে। একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট, মেটার ডাটা ও কোডের মতো যে সকল উপাদান রয়েছে। সেগুলোকে অপটিমাইজ করার যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি সেটিকে অন পেজ এসইও বলা হচ্ছে। পাশাপাশি এটি সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল এর উপরের দিকে র‍্যাঙ্ক করার জন্য আর্টিকেল বা পোস্টকে সহায়তা প্রদান করে। এজন্য একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের ক্ষেত্রে ওয়ান পেজ এসইও On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। 

কেননা বাংলাতে আপনি এসইও সম্পর্কে বেসিক ধারণা থেকে শুরু করে এডভান্স লেভে ধারণা সবকিছু খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। সার্চ ইঞ্জিন ইন্টারনেটে থাকা ডাটা সংগ্রহ করার জন্য ক্রলার এর সহায়তা গ্রহণ করে। সার ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার জন্য ক্রলারগুলো সব সময় ইন্টারনেট Explore অর্থাৎ অনুসন্ধান বা আবিষ্কারের চেষ্টা করে থাকে। মূলত তারা একটি সাইট এর লিংক থেকে অন্য সাইট এর লিংকে ভ্রমন করে এবং একই সময় কন্টেন্ট ম্যাপ তৈরি করার চেষ্টা করে, যেটিকে আমরা “Search Index” বলে থাকি। 

পাশাপাশি ক্রলারগুলো ওয়েবসাইট এর কনটেন্টগুলো মূল্যায়ন করে অর্থাৎ কনটেন্টে কি ধরনের তথ্য ইনপুট করা হয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে থাকে। সাধারণত ডাটা গুলো যাচাই-বাছাই করার পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ ইঞ্জিন আ্যলগরিদম এর মাধ্যমে বিষয়গুলোকে মূল্যায়ন করে থাকে। সার্ক ইঞ্জিন বোঝার চেষ্টা করে এটি ইউজারের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বা ভালো দিক নির্দেশন করছে কিনা। যারা সার্চ ইঞ্জিন বা এসইও নিয়ে কাজ করে তারা সাধারণত একটি কিওয়ার্ডকে দক্ষতার সাথে আর্টিকেলের অভ্যন্তরে ইনক্লুড করে। 

যার পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ ইঞ্জিন খুব সহজেই মার্ক করতে পারে যে এসইও এক্সপার্ট ব্যক্তিটি কোন বিষয় সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করাতে ইচ্ছুক। তবে আপনি যদি একজন বাংলাদেশী এসইও এক্সপার্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই অন পেজ এসইও কি, On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন এবং কোন পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে খুব তাড়াতাড়ি পোস্ট রেঙ্ক পাবে সেগুলো জানা প্রয়োজন।

অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব

আপনি যদি আর্টিকেলের উপরের অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সেখানে বারবার একটি কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে একটি পোস্ট গুগল সার্চ লিস্টে র‍্যাংক করানোর জন্য অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করা থেকে শুরু করে অন পেজ এসইওর যে সকল কাজ রয়েছে সেগুলো করার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন পেজ অপটিমাইজেশন করা হয় সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনের যে বট গুলো রয়েছে তাদের মাধ্যমে। সেই বটগুলো বোঝার ক্ষমতা রাখে যে কনটেন্ট কেমন এবং সেটি ইউজার বা পাঠকের জন্য কতটা উপকারী, উপযুক্ত হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। 

অন পেজ এসইও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স থেকে শুরু করে কিওয়ার্ড স্টাফিং, CTR সবকিছু বিষয়কে অপটিমাইজ করে থাকে। ইউটিউব ভিডিও থেকে শুরু করে ব্লগিং এবং ওয়েবসাইটের অন্যান্য সকল ধরনের আর্টিকেল রেংক করানোর জন্য অবশ্যই অন পেজ এসইও করার আবশ্যকতা এজন্যই প্রতিফলিত হচ্ছে। আপনি যদি সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় কিওয়ার্ডগুলো পেশ করতে পারেন তাহলে গুগলের ক্রলিং বটগুলো খুব সহজেই আন্দাজ করতে পারে যে কোন বিষয়টিকে আপনি গুগল সার্চবারে র‍্যাঙ্ক করাতে চাচ্ছেন। 

এজন্য অন পেজ এসইও এবং কিওয়ার্ড স্টাফিংকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। চলুন তাহলে এবার অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব গুলো পয়েন্ট আকারে জেনে নেওয়া যাক।
  • সঠিকভাবে অন পেজ এসইও করার মাধ্যমে গুড ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, কিওয়ার্ড স্টাফিং, ওয়েবসাইট লোড স্পিড কন্ট্রোল, বাউন্স রেট ইত্যাদি কমানোর ক্ষেত্রে ভালো একটি ভূমিকা পালন করে।
  • Hummingbird একটি মেশিন লার্নিং এলগরিদম BERT যার পরিপ্রেক্ষিতে গুগল একটি সার্চ কোয়েরির ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য বুঝতে সক্ষম। যা অন পেজ এসইও করার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
  • অন পেজ এসইও কনটেন্ট গুলোকে খুব ভালোভাবে সাজাতে এবং সেটি পাঠকদের জন্য উপকারী হিসেবে তৈরি করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ ইঞ্জিন তার তালিকাতে শীর্ষস্থানে জায়গা করে দেয়।
  • সবকিছুর মূলে রয়েছে কন্টেন্ট। কনটেন্ট যদি ভাল মনে হয় এবং সেখানে অন পেজ এসইও এর সকল বিষয়গুলো ইনক্লুড থাকে তাহলে গুগল সার্চ লিস্টে rank পেতে খুব একটা সময় লাগবে না।
  • Google অ্যালগরিদম একটি প্রোগ্রাম বা নির্দিষ্ট প্রশ্নের জন্য প্রাসঙ্গিক পেজগুলো খুঁজতে থাকে। আপনি যদি অন পেজ এসইও করার মাধ্যমে সেই বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনার পোস্টটি র‍্যাঙ্ক করবে।
  • যদি কনটেন্ট বা পোস্ট এর মান খারাপ হয় তাহলে গুগল অ্যালগরিদম অনুযায়ী সেটি নিম্নমানের কনটেন্ট হিসেবে উল্লেখিত হবে এবং কর্তৃপক্ষ পেনাল্টি দিয়ে দেবে। এজন্য নিজেকে এক্সপার্ট লেভেলের তৈরি করতে On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন এর কোন বিকল্প নেই।

On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন

একটি ওয়েবসাইট রেঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে কনটেন্ট। তাহলে কেউ যদি প্রশ্ন করে অন পেজ এসইও কি সে ক্ষেত্রে প্রথম উত্তর আসতে পারে অন পেজ এসইও এর অপর নাম কনটেন্ট। ইংরেজিতে একটি কথা আছে “Content is King” শুধুমাত্র ব্লগিং এর ক্ষেত্রে নয় ইউটিউব, ফেসবুক সকল প্লাটফর্মে কন্টেন্ট সবচেয়ে বেশি জরুরী। আপনার কনটেন্ট যদি ভাল হয় ক্ষেত্রে ভিডিও এবং ব্লগ পোস্ট সব ক্ষেত্রেই র‌্যাঙ্ক করা সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় কনটেন্ট ভালো হওয়ার পরেও ব্লগ অথবা ভিডিও গুলো রেঙ্ক করতে পারে না। 

এর প্রধান কারণ হলো সঠিকভাবে এসইও না করা। বিশেষ করে আপনার কনটেন্টে অবশ্যই অন পেজ এসইও করতে হবে এবং অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি কোন একটি ইঞ্জিনে তেল, মবিল না দেন সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিন যেমন চলবেনা। ঠিক তেমনি আপনার কনটেন্টে যদি সঠিকভাবে অন পেজ এসইও না করা থাকে সেক্ষেত্রে কখনোই গুগল রেঙ্ক করাবে না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই অন পেজ এসইও সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ধারণা রাখতে হবে। চলুন তাহলে নিচে On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন এর আওতায় যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা যাক।

কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research)

কিওয়ার্ড সাধারণত একটি শব্দ বা বাক্যের অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আপনি যখন কোন কিছু সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করতে যান তখন সে ক্ষেত্রে যে ওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করেন সেগুলোই মূলত কিওয়ার্ড। একজন ব্যবহারকারী গুগলে কোন কিছু জানার জন্য বা কেনার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে সার্চ করে থাকে। আর সেসকল বিষয়ে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করে একজন ব্লগার যদি আর্টিকেল লেখে তাহলে সে পোস্টগুলো সেই সকল ব্যবহারকারীর সামনে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। একটি ওয়েবপেসকে গুগল search এর মাধ্যমে পাঠকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন করা জরুরী। 

সেই সকল ফোকাস কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে হবে যেগুলো লিখে মানুষজন সার্চ করে। এজন্য আপনাকে অন পেজ এসইও কি এবং অন পেজ এসইও করার জন্য কিওয়ার্ড টুলস সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। মনে করুন আপনি একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন যেটা নিয়ে মানুষ সার্চ করে না তাহলে কি সেটা গুগল রেঙ্ক করাবে। উত্তর আসবে অবশ্যই না পাশাপাশি যে সকল বিষয় নিয়ে মানুষ একবারে বেশি সার্চ করে না অর্থাৎ ট্রেন্ডিং কিছু বিষয় নিয়ে হয়তো কিছুদিন সার্চ করলেও, একটি সময় পর আর সেটি নিয়ে সার্চ করে না। 

এগুলো কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখলে পরবর্তীতে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এজন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করা এবং এটি অপটিমাইজড করা একটু কঠিন বিষয়। আপনি মোবাইল নিয়ে আর্টিকেল লিখলেন, কিন্তু মোবাইলের ব্র্যান্ড, স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে লোকজনদের যদি অবগত না করেন অর্থাৎ সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার না করেন। তাহলে সেটি ভিজিটররা পড়বেনা। যার ফলে আপনার লেখা আর্টিকেলগুলো র‍্যাঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা একদম জিরো হয়ে যাবে। আসুন এবার জেনে নিব On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন এর প্রথম ধাপে কিওয়ার্ড ব্যবহার করার কিছু বিষয় সম্বন্ধে।
  • কনটেন্ট লেখার সময় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার পরিপ্রেক্ষিতে কনটেন্ট এর মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড সঠিক জায়গায় ব্যবহার করতে হবে।
  • কোন আর্টিকেলে টাইটেল, মূল কনটেন্ট ও হেডিং এ কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • ইমেজ অপটিমাইজেশন, URL, tag ইত্যাদিতে আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করুন।
  • আর্টিকেল লেখার সময় ফোকাস কিওয়ার্ড যেখানে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়টিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে সে সকল জায়গায় অযথা কিওয়ার্ড ইনক্লুড করা যাবে না। বারে বারে কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে সেটি Keyword Stuffing হয়ে যাবে।
  • আর্টিকেল লেখার সময় ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করার পাশাপাশি রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলো (Related Keyword) ইনক্লুড করতে হবে। এ ধরনের কিওয়ার্ডগুলো যুক্ত করলে র্টিকেল র‍্যাংক পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আর্টিকেল রাইটিং (Article Writing)

একজন ব্লগার বা কনটেন্ট রাইটারের মূল লক্ষ্য থাকবে অন পেজ এসইও কি ভাবে ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং করা যায় সেই বিষয়টি। ভিজিটরদের কথা মাথায় রেখে এসইও কনটেন্ট রেডি করা একটি শৈল্পিক বিষয়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার আর্টিকেলে ফ্রেন্ডলি বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে দর্শক পড়ে বিষয়গুলো উপকার যেমন পায় তেমনি আগ্রহ বোধ তৈরি হয়। কনটেন্ট যেমন সবার উপরে এ বিষয়টি এসইও সেক্টর সহ- সকল মার্কেটিং সেক্টরে অলিখিত সত্য হিসেবে বিবেচিত। 
এজন্য আপনাকে আপনার আর্টিকেল রান করানোর জন্য হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট (High Quality Content) লিখার পাশাপাশি সেখানে অবশ্যই ফ্রেন্ডলি বিষয়টি নিযুক্ত করতে হবে। আপনি যদি আপনার পাঠকদের সাথে একটি অদৃশ্য সম্পর্ক যুক্ত করতে পারেন তাহলে মূলত আপনার লেখার সার্থকতা। আপনি যদি এই মুহূর্তে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনার মধ্যে এবং আমার লেখার মধ্যে একটি অদৃশ্য যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। আর এটি মূলত কন্টেন্ট এর পাওয়ার। 

যদি আমার কনটেন্টে কোনরকম উপকার সংবলিত তথ্য না থাকে তাহলে পাঠক আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বে না। সুতরাং কনটেন্ট এর ভেতরে আমার এমন কিছু ইনক্লুড করার চেষ্টা করতে হবে যেন সেটি অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব বহন করে এবং ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং হিসেবে তৈরি করা যায়। চলুন এবার তাহলে On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন এর অভ্যন্তরীণ বিষয় অর্থাৎ আর্টিকেল লিখার সময় কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত সে সম্বন্ধে জেনে নিব।
  • এসইও কনটেন্ট সাধারণত হিউম্যান ও সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি কন্টেন্টকে ইঙ্গিত করে। কোনরকম কপি-পেষ্ট না করে নিজের ভাষায় আর্টিকেল লেখা এবং সেটি ফ্রেন্ডলি ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে
  • আপনার অডিয়েন্স যারা আর্টিকেলগুলো পড়ে তাদের গঠনযোগ্যতা বা রিবেবলিটি নিশ্চিত করার বিষয়টি আপনার পরিলক্ষিত করতে হবে। তারা যেন বিষয়গুলো পড়ে উপকৃত হয় এবং পরবর্তীতে পড়ার আগ্রহ তৈরি হয় সে বিষয়ে নজর রাখা উচিত।
  • ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। অনেকে মনে করেন আর্টিকেলে প্রত্যেকটি অংশ যদি ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে ভরিয়ে দিই তাহলে পোস্ট র‍্যাঙ্ক করবে। আসলে সামঞ্জস্যপূর্ণ জায়গাতেই বা অংশে ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিত।
  • একটি আর্টিকেলের প্রাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় সাব হেডিং বিষয়টিকে। একটি বড় কন্টেন্ট বা বিষয়টিকে ধাপে ধাপে বুঝানোর জন্য সাব হেডিং এর বিকল্প অন্য কিছু নেই।
  • আর্টিকেল লেখার সময় প্রত্যেকটি বিষয় প্যারা আকারে লেখার চেষ্টা করতে হবে। ছোট প্যারার মাধ্যমে আর্টিকেল বেশি ফুটে ওঠে। এতে করে বিষয়গুলো খুব সহজেই পাঠক বুঝতে পারে এবং পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়।
  • কনটেন্টের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নাম্বার অথবা বুলেট মার্কিং করে দিতে হবে। যাতে সে বিষয়গুলো খুব সহজেই পাঠকের নজরে পড়ে এবং সেগুলো পড়ে উপকৃত হয়।
অন পেজ এসইও এই বিষয়টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টাইটেল, ট্যাগ বা শিরোনাম। আমরা যখন ওয়েবসাইটে কোন কিছু লিখে সার্চ করি তখন সামনে ওয়েবসাইটের যে টাইটেল গুলো শো হয়। সেটা যদি আকর্ষিত না হয় তাহলে আমরা সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি না। ঠিক তেমনি আপনি যখন আপনার আর্টিকেল লিখবেন তখন টাইটেল, ট্যাগের বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। পাশাপাশি পোস্টের টাইটেলে, মেটা টাইটেলে ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো থাকা জরুরী।

মেটা ডেস্ক্রিপশন (Meta Description)

আপনারা যদি এই আর্টিকেলের উপরের অংশে লক্ষ্য করেন তাহলে অন পেজ এসইও কি, অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব এবং On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন বিষয়ে জানানোর জন্য আমরা মেটা ডেসক্রিপশন এর কথা বলেছিলাম। সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ওয়েব পেজের বিষয়বস্তুর একটি সারমর্ম আকারে লেখার বিষয়টিকেই মেটা ডেসক্রিপশন বলা হচ্ছে। একজন ব্যবহারকারী তার জন্য আর্টিকেলটি উপযুক্ত বা সঠিক কিনা সেটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করে মেটা ডেসক্রিপশন পড়েই বুঝতে পারে। 

এজন্য এসইও প্লাগিন ব্যবহার করার মাধ্যমে মেটা ডেসক্রিপশন দিলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। হবে ডেসক্রিপশন যেন ১৬০ ওয়ার্ডের বেশি না হয় সেই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। ওয়েব পেজে অন পেজ এসইও করার ক্ষেত্রে মেটা ডেসক্রিপশন কি ভূমিকা পালন করে তার ২ টি উদাহরণ নিচে দেওয়া হল।
  • আপনার ওয়েবসাইটটির ওয়েব পেজে কোন বিষয়ের তথ্য ইনপুট করা আছে তা পাঠকদের জন্য কতটা উপকারী এবং উপযুক্ত সে সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে।
  • মেটা ডেসক্রিপশন মূলত কোন রেংকিং ফ্যাক্টর নয়। তবে একজন পাঠককে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসার জন্য অন্যতম একটি ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এই বিষয়টি ট্রাফিক বৃদ্ধিতে ভালো অবদান রাখে বলে উল্লেখ করা হয়।

ইমেজ এসইও (Image SEO)

ইমেজ এসইও সাধারণত গুগল এবং অন্যান্য ইমেজ সার্চ ইঞ্জিনে ছবি র‍্যাঙ্ক করার প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন আপনি যখন গুগলে কোন কিছু লিখে সার্চ করেন তখন উপরের অংশে “Image” নামক একটি অপশন দেখা যায়। অপশনটিতে ক্লিক করলে আপনার সামনে অনেকগুলো ইমেজ চলে আসে। যারা ইমেজ এসইও বা অপটিমাইজ খুব ভালোভাবে করেছে তাদের ইমেজগুলো সবার প্রথমে শো করা হয়। এখান থেকেও আপনি অনেক ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। 

যেহেতু গুগলের BOT গুলো ইমেজ পড়তে পারবেনা এজন্য সেখানে ইমেজ টেক্সটে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করে ফেলতে পারেন। এতে করে BOT খুব সহজেই আপনার ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো ক্যাচ করতে পারবে এবং সেটিকে রান করাতে পারবে। এজন্য ইমেজ আপলোড করার সময় ইমেজ অল টেক্সটে ফোকাস কিওয়ার্ড রাখুন। ইমেজ অপটিমাইজেশন করার সময়, ছবির ফাইল এর সাইজ যতটা সম্ভব কমিয়ে, কিন্তু কোয়ালিটি বজায় রেখে আপলোড করতে হবে। 

আর অন পেজ এসইও কি ভাবে পারফেক্ট হবে সেটি নির্ভর করবে আপনার বিভিন্ন ক্রিয়েটিভিটির উপর। এবার আমরা জেনে নিব On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন এর আওতায় ইমেজ এসইও করার জন্য কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
  • এসইও ফ্রেন্ডলি ট্যাগ যুক্ত করতে হবে
  • লোডিং কার্য যেন দ্রুত সম্পন্ন হয় সে ক্ষেত্রে সঠিক ফরমাট এবং ফাইল নির্বাচন করা জরুরী।
  • ইমেজ এর পরিবর্তনে ফাইল গুলো কাস্টমাইজ করে ফেলতে হবে।
  • আপনার ইমেজ গুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা অর্থাৎ মোবাইলে সাপোর্ট করে কিনা সে বিষয়ে যাচাই এবং নিশ্চিত করতে হবে।

পেজ লোড অপটিমাইজেশন (Page Load Optimization)

আপনার ওয়েবসাইটটিতে একজন ভিজিটর আসবে বিভিন্ন কনটেন্ট সম্পর্কে, বিজনেস সম্পর্কে জানার জন্য। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটটিতে ক্লিক করার পর সেটি যদি স্লো হয় তাহলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ট্রাফিক গুলো হারাতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি কোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটটির পেজ লোড স্লো হয় তাহলে অবশ্যই আপনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসবেন। ঠিক তেমনি আপনার ওয়েবসাইটের পেজ লোড অপটিমাইজড যদি ভালো না হয় সেক্ষেত্রে ভিজিটর আপনার ওয়েব পেজে অবস্থান করবে না। 

এভাবে এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে পরবর্তীতে আপনার পার্মানেন্ট ভিজিটর গুলো আপনি হারিয়ে ফেলবেন। আপনার ওয়েবসাইট ঠিক যতটা ফাস্ট এবং লোডিং নিবে। ঠিক ততটাই আপনার টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে আপনার ওয়েবসাইটের মূল্য এবং গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি একটি ফাস্ট ওয়েবসাইট এসইও রেংকিং ডেভলপ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ওয়েবসাইট ঠিক কত সময় নিয়ে লোডিং হয় তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। সুতরাং আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের পেজ লোড অপটিমাইজেশন বিষয়টি সঠিক আছে কিনা সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।

ইউআরএল স্ট্রাকচার অপটিমাইজেশন (URL Structure Optimization)

আপনি যদি Google এর গাইডলাইন গুলো পড়ে থাকেন তাহলে একটি সাইটের URL গঠন যতটা সম্ভব সহজ হওয়া উচিত। ইউআরএল স্টাকচার গঠনমূলক হওয়াটা অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত। ইউআরএল স্ট্রাকচার এমন ভাবে তৈরি করতে হবে, যেখানে মানুষের পক্ষে সবচেয়ে বোধগম্য তৈরি হয় এবং আপনার কনটেন্ট অর্গানাইজ করে। এজন্য ইউআরএল গুলোতে আইডি নম্বরের পরিবর্তে গঠনযোগ্য শব্দ বা ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। 

পাশাপাশি কোন ওয়েব পেজের কনটেন্ট কি সেটার বুঝার জন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো টাইটেল, ট্যাগ লিংক, টেক্সট এবং URL বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন এর অধীনে ইউআরএল স্ট্রাকচার তৈরি করার বিষয়টি বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। একটি কনটেন্ট লেখার সময় এবং সেটিকে সঠিকভাবে অপটিমাইজ করতে এসইও ফ্রেন্ডলি URL কিভাবে তৈরি করা যায় অর্থাৎ ইউআরএল অপটিমাইজেশন এর বিষয়বস্তুগুলো নিচে দেওয়া হল।
  • URL তৈরি করার সময় ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • কিওয়ার্ডগুলো লিখার সময় অবশ্যই আন্ডার স্কোর স্পেস এর পরিবর্তে হাইপেন (“-”) ব্যবহার করতে হবে। উদাহরণঃ on-page-seo।
  • ইউআরএল সব সময় ছোট করে তৈরি করতে হবে এবং সেটি যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
  • XML এর তথ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২০৪৮ অক্ষর সাপোর্ট করে। সুতরাং এর থেকে বেশি বড় করা যাবে না।
  • স্টপ ওয়ার্ডগুলো বাদ দিয়ে দিতে হবে।
  • URL তৈরি করার সময় অবশ্যই ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করতে হবে।
  • ব্লগ পোস্টের URL এ তারিখ রাখা যাবেনা।

ইন্টার্নাল লিঙ্ক (Internal Link)

আমরা আর্টিকেলের প্রথম অংশে “Internal Link” এর কথা বলেছিলাম। একটি ওয়েবসাইটের অন পেজ এসইও কি ভাবে কাজ করবে অর্থাৎ তথ্য, দক্ষতা এবং উপস্থাপনের অন্যতম মাধ্যম হলো ওয়েবসাইটে লিংক প্রদান করা। একটি ইন্টারনাল লিংক আপনার ওয়েবসাইটের একটি পেজ থেকে অন্য আরেকটি পেজে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। অর্থাৎ আপনি একটি আর্টিকেলে অন্য একটি আর্টিকেলের লিংক যুক্ত করে দিলে সেখানে ক্লিক করে ভিজিটর সহজেই আরেকটি আর্টিকেলে যেতে পারছে। এতে করে ভিজিটর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 
যখন আমরা ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করি তখন গুগল সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে যে এই পোস্ট আরও একটি পোস্টের সাথে সংযুক্ত। পাশাপাশি গুগলকে আপনার পৃষ্ঠাগুলির প্রসঙ্গ এবং কিভাবে বিভিন্ন পৃষ্ঠা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত রয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। সুতরাং কনটেন্ট এর সঙ্গে সম্পর্কিত সকল পেজগুলো একটি থেকে উন্নতিতে ইন্টারনাল লিংকআপ করতে হবে। এতে করে লিঙ্ক জুস বা ইকুইটি বৃদ্ধি পাবে যা একটি পোস্ট বা আর্টিকেলকে র‍্যাঙ্ক করাতে সাহায্য করে। তবে ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করার সময় আঙ্কর টেক্সট হিসেবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

এক্সটার্নাল লিংক (External Link)

On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন অন্যতম আরেকটি বিষয় হলো এক্সটার্নাল লিংকিং। আপনি যদি উপরের অংশ ইন্টার্নাল লিংকিং এ বিষয়টি সম্বন্ধে জেনে থাকেন তাহলে এক্সটার্নাল লিংক করার বিষয়টি আরো সহজ হয়ে যাবে। এক্সটার্নাল লিংক হল এমন সকল লিংক যা অন্য সাইটের পেজে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। Google একটি ওয়েবসাইটের সাথে অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের সম্পর্ক স্থাপন করার বিষয়টিকে বেশি প্রমোট করে থাকে। আর একটি ওয়েবসাইটের সাথে আরও একটি ওয়েবসাইটের সংযোগ স্থাপন করার অন্যতম মাধ্যম হলো এক্সটার্নাল লিংকিং করা। 

আপনার যকৃত এক্সটার্নাল লিংকগুলো আপনার পৃষ্ঠার উপযোগিতা এবং গুণগতমান নির্ধারণে সার্চ ইঞ্জিন কে বিভিন্ন তথ্য প্রদানে সহায়তা করে। উচ্চ মানসম্মত পৃষ্ঠাগুলো সাধারণত অন্যান্য পৃষ্ঠা গুলির সাথে লিংক করে। আর এর ফলে সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার কন্টেনকে অনুকূল হিসেবে দেখায়। এক্সটার্নাল লিংকিং করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো।
  • সেই সকল পেজের লিংক প্রদান করা উচিত যা পাঠকের জন্য হেল্পফুল এবং প্রয়োজনীয়।
  • আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড এর কম্পিটিটর কোনো সাইট লিংক প্রদান না করা।
  • কোন ডাটা প্রদান করলে সেটার সোর্স যুক্ত করতে হবে।
  • ভালো মানের কনটেন্ট লিংক প্রোভাইড করতে হবে।

শেষের কথা

বন্ধুগণ আমরা আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করি আপনারা অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব এবং On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত হতে পেরেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি অন পেজ এসইও কি এ বিষয়টিতে যা কিছু আছে সকল তথ্য ইনক্লুড করার। আপনি যদি শুধুমাত্র এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অন পেজ এসইও সম্বন্ধে আর কোন কনফিউশন থাকবে না। পাশাপাশি এই বিষয়গুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার কনটেন্ট আরো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন করতে পারবেন। 

পাঠক আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের আর্টিকেলে তথ্যবহুল বিষয়গুলো ইনপুট করার। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত অনেক আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। অনলাইন ইনকাম বিষয়ে যদি আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার বন্ধুবান্ধবদের On Page SEO করার বাংলা গাইডলাইন সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা দেওয়ার জন্য অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url