৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম এবং ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম
আপনি কি কম্পিউটারে বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজ সহ অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন তাহলে কমপক্ষে ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম এবং এর বিস্তারিত জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী। ডিজিটাল যুগে সকলেই কমবেশি কম্পিউটারের কাজ সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কম্পিউটার সফটওয়্যার সম্পর্কে খুব একটা জানা হয় না। তাই সে সকল ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যেই আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম এবং বিস্তারিত।
উক্ত বিষয়টি বাদেও আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলো সফটওয়্যার এর উদাহরণ, কয়েকটি বাংলা সফটওয়্যার এর নাম এবং ৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম এবং বিস্তারিত। সুতরাং সফটওয়্যার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন এবং ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম ও তাদের বিস্তারিত জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকুন।
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
সফটওয়্যার মূলত কোন বৈদ্যুতিক ডিভাইস বা কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশকে কর্ম উপযোগী করা, পরিচালনা করা এবং কোন বিশেষ ব্যবহারিক কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তথা প্রোগ্রাম এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য নির্দেশনাক্রম অথবা ফাংশন ব্যবহার করে থাকে তাদের সবগুলিকে একত্রে সফটওয়্যার বলা হয়। সফটওয়্যার কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটো ডিভাইস এই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে মোবাইল ডিভাইসের সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট এবং কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট পুরোটাই আলাদাভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে।
কম্পিউটার সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে বিষয়টিকে কম্পিউটার নির্দেশনা সামগ্রী বা কম্পিউটার তন্ত্রাংশ সামগ্রী হিসেবে গণ্য করা। কম্পিউটারের ইলেকট্রনীয়, বৈদ্যুতিক, চৌম্বক এবং অন্যান্য সমস্ত দৃশ্যমান ও স্পর্শনীয় যন্ত্রাংশগুলিকে একত্রে করে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সামগ্রী বা কম্পিউটার হার্ডওয়ার বলে আখ্যায়িত করা হয়।
সফটওয়্যার এর উদাহরণ
সফটওয়্যার এর বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে নির্দেশনা সামগ্রীকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। একটি হল কম্পিউটারের পরিচালক ব্যবস্থা অথবা অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম সফটওয়্যার যা গণক যন্ত্রের অভ্যন্তরে এবং পারিপার্শ্বিক যন্ত্রাংশ গুলির ক্রিয়াকলাপের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং তথ্যকে কর্ম উপযোগী করে তোলে। দ্বিতীয়টি হল ব্যবহারিক নির্দেশনা সামগ্রী বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার যেগুলোতে গণক যন্ত্র বা কম্পিউটারকে এমন সব নির্দেশনা পালন করতে দেওয়া হয় যাতে।
সেটি ব্যবহারকারীর প্রদত্ত উপাত্ত গুলো প্রক্রিয়াজত করে কোন ব্যবহারিক সমস্যার সমাধান দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আর্টিকেল রাইটিং বা ওয়ার্ড প্রসেসিং, হিসাব নিকাশ, স্প্রেডশিট, তথ্যভাণ্ডার বা ডাটাবেজ ইত্যাদি। নিচে উদাহরণস্বরূপ কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের নাম দেয়া হলো।
- Windows
- Dos
- MS Office
- Adobe Photoshop
- Video Player
- Pagemaker
যারা অফিসিয়াল কম্পিউটার অপারেটর এবং অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে থাকে তাদের জন্য কমপক্ষে ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম এবং ৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম জানা খুবই জরুরী একটি বিষয়। আজকে আর্টিকেলে সে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে সে সকল বিষয়বস্তু তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, যারা কম্পিউটারে অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার সম্পর্কে অতটা পারদর্শী নয়। তাই অবশ্যই আর্টিকেলের কোন অংশ স্কিপ না করে সম্পূর্ণ পড়ার চেষ্টা করুন।
১০ টি সফটওয়্যার এর নাম
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ ব্যক্তিগত এবং কর্ম ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার করে থাকে। কেননা অফিসিয়াল সকল কাজ একমাত্র কম্পিউটার দিয়ে সাধন করা হয়। এজন্য কম্পিউটারের সফটওয়্যার সম্পর্কে কমবেশি সকলেরই ধারণা থাকা প্রয়োজন। আমরা ইতিমধ্যে একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি সেটি হল কম্পিউটার বা যে কোন ডিভাইসের দুটি অংশে থাকে। প্রথমটি হল সফটওয়্যার এবং দ্বিতীয়টি হল হার্ডওয়্যার। সফটওয়্যার মূলত প্রোগ্রাম, নিয়ম ও নির্দেশের গ্রুপসমূহ যা হার্ডওয়ারকে নির্দেশ করে কখন, কিভাবে ও কি কাজ করতে হবে। সফটওয়্যার ব্যথিত যেকোন রকম হার্ডওয়ার বা কম্পিউটার অথবা যে কোন ডিভাইস নিষ্প্রাণ একটি মেশিনের মত।
অর্থাৎ সফটওয়্যার ব্যতিত কোনোভাবেই ডিভাইসটি পরিচালিত করা সম্ভব হবে না। সহজভাবে বিষয়টিকে যদি সংজ্ঞায়িত করা হয় তাহলে সফটওয়্যার হচ্ছে প্রোগ্রামের এক গ্রুপের সমষ্টি যা কম্পিউটার এবং মোবাইলের যাবতীয় কাজগুলোকে সম্পাদন করার নির্দেশ প্রদান করে থাকে। সেই সফল পোগ্রাম বা নির্দেশ সমূহ Java, Python, C++ ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ অনুসারে লেখা হয়। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম ৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম জানার পূর্বে চলুন সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ বা কোন ধরনের সফটওয়্যার এর কার্যাবলী অনুসারে কম্পিউটার বা যে কোন ডিভাইস পরিচালিত হয় একটি ডায়াগ্রামের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হোক।
সিস্টেম সফটওয়্যার বলতে সেই সব সফটওয়্যারকে বলা হয় যা কম্পিউটারে সমস্ত হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সফটওয়্যার কে ম্যানেজ ও কন্ট্রোল করতে সহায়তা প্রদান করে। সর্বপ্রথমে অপারেটিং সফটওয়্যার সিস্টেম সফটওয়্যারের আওতায় মোবাইল এবং কম্পিউটারে ইন্সটল করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণটি হল কম্পিউটারের ক্ষেত্রে Windows এবং মোবাইলের ক্ষেত্রে Android এবং iOS। সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার বা মোবাইল কখনোই চালানো সম্ভব নয়। কেননা এই অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম সফটওয়্যার দ্বারা আমরা কম্পিউটারের সাথে ইন্টারেক্ট বা যোগাযোগ করে কম্পিউটার চালাতে পারি। নিচে ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম এবং তাদের বিস্তারিত দেওয়া হল।
Microsoft word
যারা কম্পিউটার চালনা করতে পারে বা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়েছে তারা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর নাম অবশ্যই শুনে থাকবেন। মূলত এই সফটওয়্যারটি লেখালেখির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার হিসেবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছে। এ সফটওয়্যারটির দ্বারা চিঠি, রিপোর্ট, নিবন্ধন ইত্যাদি সকল বিষয় লেখা সম্ভব।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে বাংলা, ইংরেজি, আরবি সহ অন্যান্য ভাষাতে লেখালেখি করা সম্ভব। এখানে বাক্য গঠন পরিবর্তন করার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ফন্ট পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে। আর এ কারণে লেখার মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
Microsoft Excel
মাইক্রোসফট এক্সেল মূলত একটি স্প্রেডশিট সফটওয়্যার। সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হলে উপরে বর্ণিত ডায়াগ্রামটির উপর লক্ষ্য করলে সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে। মূলত মাইক্রোসফট এক্সেল এর দ্বারা ডাটা বিশ্লেষণ, গণনা, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করে বাজেট, ইনভেন্টরি, আয় ব্যয় এর হিসাব, ফর্মুলা, ফাংশন, গ্রাফ সহ সকল কিছু তৈরি করা সম্ভব।
Microsoft PowerPoint
যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট তাদেরকে মাঝে মাঝেই প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। আবার যারা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করেন তাদেরকে হর হামেশাই প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত করতে হয়। আর প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্টের কোন জুড়ি নেই। ছাত্র, শিক্ষক বা অফিস-কর্মচারী যেই হোক না কেন তাদের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট কোন না কোনভাবে সাহায্য করে থাকে। Microsoft PowerPoint ব্যবহার করে আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন তৈরি করা যায়।
সেখানে নিজের ইচ্ছামত স্লাইড, টেক্সট, ছবি, অনিমেশন, ট্রানজেকশন, সাউন্ড ইত্যাদি যুক্ত করে আকর্ষণীয়ভাবে প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত করা সম্ভব হয়। সুতরাং ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম এর তালিকা তে Microsoft PowerPoint গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
Google Drive
গুগল ড্রাইভ মূলত একটি ক্লাউড স্টোরেজ সফটওয়্যার যেটি ব্যবহার করে অনলাইনে ফাইল, ফোল্ডার, ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্টস, স্পেডশিট, প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি খুব সহজেই সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করার আরো একটি সুবিধা হল এটি যে কোন ডিভাইস থেকে এক্সেস, শেয়ার, সম্পাদনা ও ব্যাকআপ নেওয়া যেতে পারে। সুতরাং আপনি যদি কোন অফিসিয়াল তথ্য সংরক্ষণ করতে চান তাহলে অবশ্যই গুগল ড্রাইভের সহায়তা নিতে পারেন।
Canva
আমরা যারা কম্পিউটার সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখি তারা ফটোশপের নাম নিশ্চয়ই শুনেছি। অনেকটা ফটোশপের মতোই খুব সহজে কাজ করে দেয় এরকম একটি সফটওয়্যার হল ক্যানভা। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য Canva বিশ্বব্যাপী ভালো একটি অবস্থানে রয়েছে। যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করে সেটা অফলাইন বা অনলাইনে, তারা ক্যানভা সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে খুব সহজেই ক্লায়েন্টের কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। কেনভা দিয়ে মূলত লোগো ডিজাইন, পোস্টার তৈরি, ব্যানার তৈরি, ইনফোগ্রাফিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইনভাইটেশন বিজনেস কার্ড তৈরি ইত্যাদি সকল ধরনের কাজ করা সম্ভব হয়।
Adobe Photoshop
আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে ক্যানভা দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সকল ধরনের কাজ করা সম্ভব হয়। তবে প্রফেশনাল লেভেলের কাজ করতে হলে অবশ্যই এডোবি ফটোশপের প্রয়োজন হবে। ছবি সম্পাদনা বা এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে এডোবি ফটোশপ দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয় হয়ে আছে। ছবি এবং ভিডিওকে আরো সুন্দর আকর্ষণীয়, পেশাদার এবং সৃজনশীল করার জন্য এডোবি ফটোশপ সফটওয়্যার টি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন, রং, ছবির সাথে টেক্সট যোগ করা, ছবিতে ক্ষুদ্র ছুটি থাকলে সেটি দূর করা সহ অনেক কিছু করা যায়।
Adobe illustrator
১০ টি সফটওয়্যার এর নাম এবং ৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম এই তালিকা তে এডোবি ইলাস্ট্রেটরের নাম অবশ্যই আসবে। এটি একটি সফটওয়্যার যেটি ব্যবহার করে লোগো, আইকন, টাইপোগ্রাফি, ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন, ড্রয়িং, স্কেস তৈরি, ডায়াগ্রাম ইত্যাদি সহ জটিল জটিল কাজ করা হয়ে থাকে। উক্ত সফটওয়্যার টি ব্যবহার করে নিজস্ব ভেক্টর গ্রাফিক পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়।
Adobe Premiere Pro
যারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে থাকেন তাদের কাছে এডোবি প্রিমিয়ার প্রো নামটি অনেক পরিচিত। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ভিডিওগুলো ক্রপিং থেকে শুরু করে জোড়া দেওয়া সহ আরো অন্যান্য কাজ যেমন রং, শব্দ, এনিমেশন, এফেক্ট যোগ ইত্যাদি সকল ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে।
Notepad
নোটপ্যাড মূলত একটি সাধারণ টেক্সট এডিটর হিসেবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সাথে কাজ করে থাকে। সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে উইন্ডোজের সাথে প্রদান করা হয়। এটি বাদেও আরো অন্যান্য নোটপ্যাড রয়েছে যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই টেক্সট ফাইল তৈরি করা সম্ভব। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ভাষায় যেমন বাংলা, হিন্দি, ইংরেজিতে লেখালেখি করা যায়।
Task management software
এ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দৈনন্দিন কাজগুলো সঠিক সময়ে করা যায়। সফটওয়্যারটির মূল উদ্দেশ্য হলো সঠিক সময়ে দৈনন্দিন কাজগুলোতে সাহায্য প্রদান করা। সফটওয়্যারটি কাজগুলোকে সাজাতে শ্রেণীবদ্ধ করতে, কোনটি আগে করতে হবে এবং কোনটি পরে করতে হবে সেটি নির্ধারণ করে থাকে। কাজের জন্য কতটুকু সময় নিতে হবে বা সেটি মনে রাখতে হবে কিনা ইত্যাদি সকল ধরনের কাজে ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সাহায্য করে। টাচ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল Microsoft to do, Google task, Todolist বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কোন বিশেষ কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ধরনের সফটওয়্যার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট কোনরকম কাজ বা বিশেষ কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য সাহায্য করে থাকে। এটি সাধারণভাবে সফটওয়্যার প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের একটি সংঘটিত রূপ যাকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়। সহজভাবে বলতে গেলে আমরা মোবাইল এবং কম্পিউটারের যে সমস্ত অ্যাপস গুলো ব্যবহার করি সেগুলোই মূলত এপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর সবচেয়ে ভালো একটি দিক হলো এটি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী মোবাইল বা কম্পিউটারে ইন্সটল এবং আনইনস্টল করা যায়। কিছু অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ফ্রিতে ব্যবহার করা হয় এবং কিছু অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার জন্য সাবস্ক্রিপশন ক্রয় করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ দুটি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম হল Photoshop এবং Google Chrome। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কে আবার তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর তিনভাগে বিভক্ত হওয়া নামগুলো নিচে দেওয়া হল।
- জেনারেল এপ্লিকেশন(General Application)
- বিসনেস এপ্লিকেশন(Business Application)
- শেয়ার এবিলিটি এপ্লিকেশন (Share ability Application)
আমরা ইতিমধ্যে ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম জেনেছি এবং সেগুলোর বিস্তারিত সম্পর্কেও জেনেছি। আসুন তাহলে এবার এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক। নিচে ৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম দেওয়া হল।
- Spreadsheet Software(স্প্রেড শীট সফটওয়্যার): Google Sheet, Microsoft Excel ইত্যাদি।
- Internet Browser (ইন্টারনেট ব্রাউজার): Google Chrome, Firefox, Bing ইত্যাদি।
- Word Processing Software (ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার): Microsoft Word, Wordpad, Notepad ইত্যাদি।
- Database Software (ডাটাবেস সফটওয়্যার): Oracle, SQL, SQL-light MySQL, Post GRI-SQL, Microsoft SQL Server, IBM DB2, Microsoft Access ইত্যাদি।
- Multimedia Software (মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার): Media Player, Audio Player, Video Player ইত্যাদি।
আমরা এখানে কয়েকটি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম উল্লেখ করলাম। এগুলো বাদেও আরো অনেক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে মোবাইল এবং কম্পিউটার এর কাজ সমূহ পরিচালিত হয়ে থাকে। গুগল প্লে স্টোরে যে সকল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলো দিয়ে মোবাইলের বিভিন্ন কার্যকলাপ সংঘটিত হয়ে থাকে। আশা করি আপনারা ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম এবং ৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা নিতে পেরেছেন।
এরপরেও যদি আপনাদের সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মধ্যে কোন কনফিউশন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এগুলো সফটওয়্যার এবং অ্যাপস বাদেও বাংলাতে কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যা আমাদের বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চলুন তাহলে এবার কয়েকটি বাংলা সফটওয়্যার এর নাম সম্বন্ধে জানা যাক।
কয়েকটি বাংলা সফটওয়্যার এর নাম
কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট দুনিয়াতে গ্রহণযোগ্য ভাষা ইংরেজি ভাষা। আর ইংরেজি ভাষাকে ভিত্তি করেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কম্পিউটার সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে যুগের সাথে পরিবর্তন অনুসারে আঞ্চলিক ভাষাগুলো ধীরে ধীরে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর সাথে যুক্ত হচ্ছে। আঞ্চলিক ভাষা গুলোর মধ্যে বর্তমানে বাংলা ভাষা পৃথিবীর মধ্যে সপ্তম কথিত ভাষা হিসেবে পরিচিত। এই মুহূর্তে আপনি যে আর্টিকেলটি পড়ছেন সেটিও একটি বাংলা ভাষায় রচিত আর্টিকেল।
পূর্বে বাংলা ভাষাতে google আর্টিকেল লেখার পারমিশন না দিলেও বর্তমানে বাংলা ভাষার জনপ্রিয়তার কারণে গুগল এডসেন্স বাংলা ভাষাতে উপলব্ধি প্রাপ্ত হয়েছে। চলুন তাহলে এবার কোন সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে বাংলা ভাষা লিখা যাবে বা কয়েকটি বাংলা সফটওয়্যারের নাম নিচে দেওয়া হল
- Abro keyboard
- Bangla word
- Easy Learn Bangla
- Borno
- Lipikar
- SouMili
- Bijoy Bayanno
শেষের কথা
প্রিয় বন্ধুগণ আমরা আজকে এই আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করছি আপনারা আপনাদের অফিসিয়াল কাজ বা অনলাইনে যেকোনো ধরনের কাজ করার জন্য ৫টি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম এবং ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম সম্বন্ধে খুব ভালোভাবে একটি ধারণা পেয়েছেন। যদি আপনাদের সফটওয়্যার এবং প্রদত্ত এপ্লিকেশন সম্পর্কে কোন কনফিউশন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন। পাশাপাশি আপনার বন্ধুবান্ধবদের ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম সম্পর্কে জানানোর উদ্দেশ্যে অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url